করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাব দেখা গিয়েছিল দেশ জুড়ে। তার প্রভাব পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও। তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেনের জোগান দিতে অক্সিজেন প্লান্ট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার ছয় জায়গায় তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট। তবে এই কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন উৎপাদনের পরেও বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বজায় থাকে গাছপালার জন্যই। পাঁচ জুলাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের চারা বসিয়ে অক্সিজেনের অভাব কিছুটা হলেও হ্রাস করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আম্ফান থেকে শুরু করে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে বহু গাছপালার ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে। কিছুদিন আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন এবং নির্দেশও দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে ম্যানগ্রোভে জোর দেওয়ার জন্য। তবে আজ এক বিপরীত চিত্র ধরা পড়ল বনগাঁয়।
যশোর রোডের দুইধারের বিপদজনক ডালগুলি কাটার কাজ শুরু করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বুধবার বনগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে যশোর রোডের বিএসএফ ক্যাম্পের মোড় থেকে এই কাজ শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, যশোর রোডের দুই ধারের প্রায় ১০০ বছরের পুরনো এই গাছগুলি অনেকটাই বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। কিছুদিন আগেও বনগাঁ চাকদাহ সড়কের কালিবাড়ি এলাকায় গাছের ডাল পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ট্রাকচালকের। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল পুরো গাছ না কেটে কিছু বিপদজনক ডাল কাটলে অনেকের প্রাণ বাঁচবে। আর তাই বনগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শুরু হল বিপদজনক গাছের ডাল কাটা।
বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে গাছের ডাল কাটার আবেদন জানালে শুক্রবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও বনগাঁ পৌরসভা বিপদজনক গাছগুলি শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছিল। বনগাঁর পৌর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, ‘ আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিপদজনক ডাল গুলি কেটে ফেলার আবেদন জানিয়েছিলাম। আজ বিএসএফ ক্যাম্পের মোড় থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। সাধারন মানুষ যাতে বিপদের সম্মুখীন না হয় সেই জন্যেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি’।