আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - ভোর ৫:৪৭

মিলন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

দীর্ঘ ২ যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে নিজের ও পরিবারের কথা ভুলে গিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপছন্দের মানুষদের সাথেও আপোষ করে নৌকাকে বিজয়ী করা মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন, ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে জামায়াত-বিএনপির নাশকতার বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নাশকতাকারীদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন, প্রতিপক্ষের নিষ্ঠুর বুলেট, বোমা এবং ছুরির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত দেহের অধিকারী মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন। অন্যায়কারী, অত্যাচারী, চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত দের আতঙ্কের নাম জাহিদ হোসেন মিলন। বার বার হত্যা চেষ্টার শিকার হওয়া সত্বেও অন্যায়ের সাথে আপোষহীন থাকা মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন, হামলা-মামলা, জেল-জুলুম সহ রাজপথের বিভিন্ন সময় কঠিন পরীক্ষায় পাস করে আসা নির্ভীক সৈনিকটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন। পরিচ্ছন্ন, সুশৃঙ্খল, সাহসী, সুসংগঠিত ও আধুনিক যুবসমাজ গড়ার লক্ষ্যে ক্লান্তিহীন ছুটে চলা মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন। গরিব, দুঃখী, মেহেনতি মানুষের ত্রাতার ভূমিকায় থাকা মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন। লাখ যুবক ও তরুনের প্রাণস্পন্দনের নাম জাহিদ হোসেন মিলন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীদের প্রিয় মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন।বজ্রকণ্ঠের হুঙ্কারে রাজপথ কাঁপিয়ে তোলা মানুষটির নাম জাহিদ হোসেন মিলন। শাহীন চাকলাদারের বিশস্ত ভ্যানগার্ড জাহিদ হোসেন মিলন।

যশোরের ইতিহাসে পোড় খাওয়া একজন রাজনীতিবীদ জাহিদ হাসান মিলন। তাঁকে নিয়ে আজ ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয়েছে – জালটি নিঃছিন্দ্র নই এমটি কিন্তু নই। এই ষড়যন্ত্রের মূল কারণ মিলনের সাংগঠনিক দক্ষতার ব্যাপকতা ও জনপ্রিয়তা।

তবে যে জালটি বিঁছিয়েছেন সে জানে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন চাকলাদার কে দূর্বল করতে পারলেই যশোরে আওয়ামীলীগকে দূর্বল করা সম্ভব।

সহজ করে বললে, নিজের আধিপত্য বিস্তার করতেই মূলত এপথ তিনি বেঁছে নিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যিনি যশোর জেলা আওয়ামীলীগকে দূর্বল করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনিও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য।

শাহীন চাকলাদার ডাক দিলে তৃণমূল থেকে শুরু যশোরের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় যশোরের রাজপথ ভারী হয়ে ওঠে, শাহীন চাকলাদারের গগণচুম্বি জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই তিনি এই নগ্নহস্তক্ষেপ করেছেন।

স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বিএনপির আমলে তরিকুল ইসলামের মূর্তিমান আতঙ্ক , বিএনপি জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের সময় রাজপথের অকুতভয় যে মিলন নেতৃত্ব দিয়েছে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, তাকে দমন করতে পারা মানেই তো শাহীন চাকলাদারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, তৃণমূলকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

কিসের ইঙ্গিত এগুলো? এগুলো কোন শুভ সংকেত নই।

“কৃত্তিমানের মৃত্যু নেই” শাহীন চাকলাদারের আজকের এই জনপ্রিয়তা এসেছে তাঁর কাজের মাধ্যমে কাউকে জিম্মি করে বা অর্থের বিনিময়ে এই অর্জন নই।

মাননীয় সাংসদ আপনিও নেতা হোন আমাদের আপত্তি নেই। তবে কাজ করে হোন। জনগণের পাশে দাঁড়ান, ওদের কে সময় দিন, ওদের দুঃখ সুখের সাথী হোন দেখবেন ওরাই একদিন আপনাকে নেতা বানাবে । নেতাকর্মী সমর্থকদের উপর মিথ্যা মামলা হুলিয়া চাপিয়ে আপনি যদি দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন জনগণ কিন্তু চুপ করে বসে থাকবেনা। আজ আফসোস হয় যারা দলের জন্য দলের হয়ে সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে কাজ করছে আপনি সেই দলের মনোনীত সাংসদ হয়ে তাদের উপর জেল জুলুম অত্যাচার নিপীড়ন করছেন..?

জাহিদ হোসেন মিলনকে কারারুদ্ধ করে তাকে দাবিয়ে রাখা যাবে এই থিওরি ভুলে ভরা। তার উপর মিথ্যা মামলা হুলিয়া চাপিয়ে তাকে দাবিয়ে রাখা যাবে এই থিওরিও ভুলে ভরা। এক জাহিদ হোসেন মিলন দলের জন্য এত নিবেদিত কর্মী সমর্থক প্রস্তুত করেছেন যে যশোরে আওয়ামীলীগের উপর কেউ আঁচড় কাঁটতে আসলে বা সেচ্ছাচারিতার দুঃসাহস দেখালে ওরাই আপনাকে অবাঞ্চিত করে দেবে।

আজকে মিথ্যা মামলা, হুলিয়া দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে যে কালিমা লেপনের চেষ্টা আপনি করেছেন তা বিফলেই গেছে কারণ যশোরের জনগণ বোঝে কারা তাঁদের দুঃসময়ে পাশে থাকে আর কারা বসন্তের কোকিলের মত আসে যায়। কারা ভদ্রতার মুখোশ পরে ওদের সাথে ছলনা করে তা কিন্তু জনগণ জানে।

সুতারাং নোংরা নগ্ন হস্তক্ষেপ না করে আসুন আপনাকে আহ্বান জানায়, যশোরের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করি , ওদেরকে সময়’দি ওদের কথা শুণি, ওদের সমস্যার সমাধান করি । আর যদি না পারেন আপনি চলে যান আপনি ইতোমধ্যে যে হারে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এভাবে চলতে থাকলে বিমানবন্দরে আর ফুলের মালা কিন্তু পৈাঁছুবে না।

—- শাহারুল ইসলাম, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত