আজ - শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:২১

বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু : শাহারুল ইসলাম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আরবপুর ইউনিয়নে মাসব্যাপী দোয়া মাহফিল ও খাদ্য সহায়তা বিতরণের ১০ম দিনে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

তারই ধারাবা‌হিকতায় আজ ১০ আগষ্ট সোমবার সকাল ১১ টায় আরবপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে কৃষ্ণবাটি গ্রামে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও ১৫০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল বলেন, ‘আগস্ট’ কে আমরা শোকের মাস বলি। এ মাসেই আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। এ মাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবকেও হারিয়েছি। একই সঙ্গে আরও হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্র, দুই পুত্রবধূ এবং তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ স্বজনদেরও। আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছার জন্মমাসও বটে।

বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের স্বাধীনতা ও নিজস্ব ভূখণ্ড। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গ্রথিত- একটি অন্যটির পরিপূরক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দেশকে বিপরীত স্রোতে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। পাকিস্তানি ভাবধারা পুনঃগ্রথিত করার প্রয়াসে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পুরনো মূল্যবোধকে পুনরুজ্জীবিত করার অপচেষ্টা চালায়।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পুরো জাতিকে উজ্জীবিত করত। সেই স্লোগানই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর হয়ে যায় ‘আওয়ামী লীগ এবং হিন্দুদের স্লোগান’, যার ফলস্বরূপ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান উচ্চারিত হতে থাকে। বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় ‘রেডিও বাংলাদেশ’। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে আসে ধর্মের নামে রাজনীতিকে ব্যবহারের পুরনো কায়দা।

জাতি হিসেবে আমরা ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন মহান নেতাকে পেয়েছিলাম। জাতির জনকও বিরল সেই ভাগ্যবানদের একজন, যিনি দেশের জন্য নিজের প্রাণকে বিলিয়ে দিতে পেরেছেন। ক্ষণজন্মা মানুষের পক্ষেই এ ধরনের আত্মদান সম্ভব। স্বভাবতই বঙ্গবন্ধুর রক্ত অন্য যে কোনো রক্তের চেয়ে আলাদা। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ রক্ত বাঙালি জাতির মুক্তির অনিঃশেষ লড়াইয়ে চিরদিন প্রেরণা জোগাবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য সালমা পারভীন কেয়া এবং পরিচালনায় সর্বিকভাবে সহযোগিতা করেন ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি ফারুক খান।

এ সময় আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রাজ, আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মোল্ল্যা, আওয়ামীলীগ নেতা নুর ইসলাম নুর, কার্তিক পাল, মকবুল হোসেন, রাজামিয়া, মশিউর রহমান,
মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রুমা আক্তার, ইতি খাতুন, আসমা আক্তার।
আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম মিন্টু, তফেলবাবু, ফিরোজ মোল্ল্যা, আশরাফুল ইসলাম আশা, শুকুর আলী, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, সুমন পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আরাফাত, আকরাম, সোহেল, জাহাঙ্গীর, রহমত, আজগর আলী, বাবুল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরো সংবাদ