যশোরের কেশবপুরে বিএনপির নেতা-কর্মি পরিচয় দিয়ে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বুধবার থানায় ৮জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন ঘের মালিক নাজমুল হোসাইনের স্ত্রী ফতেমাতুজ্জোাহরা। টাকা না দিলে তাদের ৭০ বিঘার মৎস্য ঘেরটি দখল করে নেয়ার হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারী ২০২৫) থানায় অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মেছের আলি বিশ^াসের ছেলে মহির বিশ্বাস (৬০), নিজাম উদ্দীনের ছেলে রানা বিশ্বাস (২২), আকাম ঢালির ছেলে, শহিদ ঢালি (৫৫), শের আলির ছেলে, আছাদুল্লাহ (৩৫), কুদ্দুস ঢালির ছেলে, শওকত (৩৬), বজলু ঢালির ছেলে, মিন্টু ঢালি (৩৫), আব্দুস সামাদ খাঁর ছেলে, হাচান (৩২) ও ফজলু গাজীর ছেলে বাবু হোসেনসহ (২৭) ২০/২৫ জন মিলে গত ২৭ ডিসেম্বর পাঁজিয়া গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী মোঃ নাজমুল হোসাইনের পাশর্^বর্তি কৃয্ঞনগর বিলে অবস্থিত ৭০ বিঘা মৎস্য ঘেরে যেয়ে তারা বিএনপির নেতা-কর্মি পরিচয় দিয়ে ওই ঘের কমিটির সভাপতি বিকাশ দাসের মাধ্যমে নাজমুলের নিকট ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা নাদিলে তারা ঘেরটি দখল করে নেয়া হবে হুমকি দেয়। এসময় প্রতিবাদ করলে তারা ওই ঘেরে থাকা ঘের কর্মচারীদেরকে মারপিট করে। এর পূর্বেও ওই চাঁদাবাজগংরা বিভিন্ন সময় নাজমুলসহ তার পরিবারের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা দাঁদা নিয়েছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে তাদের বাড়িতে কয়েক দফা হামলা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান।
পাঁজিয়া গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী নাজমুল হোসাইন বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর পাথরঘাটা গ্রামের মহির বিশ্বাসের নের্তৃত্বে ২০/২৫ জন, তার মৎস্য ঘেরে পিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মি পরিচয় দিয়ে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা ঘেরটি দখল কওে নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময় তারসহ তার পরিবারের নিকট থেকে ইতিমধ্যে বসত বাড়িতে হামলাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলে জানান। ওদের ভয়ে তিনি বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান।
মহির বিশ্বাস বলেন, তিনি ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি। তিনিসহ তার দলীয় ছেলেরা ২৭ ডিসেম্বর নাজমুলকে মারার জন্য তার ঘেরে পিয়েছিলেন। নাজমুল এর আগে তাদের লোকজনদের মেরেছে। এছাড়া তিনি তার কাছে ৭ লাখ টাকা পাবেন বলে জানান।
ঘেরের সভাপতি বিকাশ মন্ডল বলেন, বিএনপি নেতা মহির বিশ্বাসের নের্তৃত্বে ২০/২৫ জন নাজমুলের ঘেরে এসে তার মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে ঘেরটি দখল করে নেয়া হবে বলে তারা হুমকি দেয়।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক বলেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবজি করলে তাদেরকে আইনে সোপর্দ্দ করুন।এছাড়া দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
কেশবপুর থানার ডিউটি অফিসার জুয়েল রানা বলেন, ঘের মালিক নাজমুল হোসাইনের স্ত্রী মহির বিশ্বাস সহ ৮জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘের মালিক নাজমুল হোসাইনের কাছে ৪০ লাখ চাঁদা দাবির বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।