ইট ক্রয়ের পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো ভাটার মালিককে আটক করে পেন্ডিং মামলা চালান দেয়ায় মণিরামপুর থানার সাবেক ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার খোজালিপুর গ্রামের মেসার্স জনতা ব্রিকসের মালিক আব্দুল কাদের বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী বনি আমিন।
আসামিরা হলো, মণিরামপুর থানার সাবেক ওসি শহিদুল ইসলাম, এসআই প্রশান্ত কুমার দাস ও এসআই দেবাশীষ মন্ডল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল কাদের মণিরামপুরের সোহরাব মোড়ের মেসার্স জনতা ব্রিকসের মালিক। আসামিদের নিজেদের প্রয়োজনে মেসার্স জনতা ব্রিকসে গিয়ে ইট ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। প্রতিগাড়ি ইটের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার টাকা। এরপর আসামিদের চাহিদা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে আসামিদের ৫২ গাড়ি ১ নম্বর ও পিকেট ইট সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে আসামিদের কাছে পাওনা থাকে ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আসামিদের চাহিদা অনুযায়ী ইট সরবরাহ করার পর পাওনা টাকা চাইলে তারা দ্রুত দিয়ে দিবেন বলে আসস্ত করেন। এক পর্যায়ে আসামিরা পাওনা টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। ওই বছরের ১১ নভেম্বর আসামিরা ভাটার সামনে ডিউটিতে আসলে ভাটার মালিক আব্দুল কাদের পাওনা টাকা চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। এসময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আসামিরা ভাটার মালিক আব্দুল কাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আব্দুল কাদেরকে একটি পেন্ডিং নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় আসামিরা। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।