আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৩:০৩

মাস্কে দুই শিং লেডি গাগার

অনেক কিছুই ঘটল করোনাকালে। তার মধ্যে লেডি গাগা যেমন শিং লাগানো মাস্ক পরলেন। ঘটনাটা ৩১ আগস্টের। সেদিন এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হলো। গাগার মাস্ক পরা ছবিটি অনেকেই দেখেছেন। শিং দেখে আবু সালেহ শফিকের মনে হয়েছে এমনটা ভাইকিংদের ছিল

সেটা ছিল রবিবারের রাত। গাগাকে মাস্ক ছাড়া একবারও দেখা যায়নি। একাধিক মাস্ক তিনি পরেছিলেন ওই পুরস্কারের রাতে। বছরের সেরা শিল্পীর (আর্টিস্ট অব দ্য ইয়ার) পুরস্কার নিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখনো একে ওকে জানাচ্ছিলেন কভিডবিরোধী লড়াইয়ে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

চার বছর মাত্র
ল্যান্স ভিক্টর মুর বড় হয়েছেন লং আইল্যান্ডে। তবে ১৫ বছর ধরে সান ফ্রান্সিসকোতে থাকেন। চার বছর হলো তিনি পোশাক-আশাক নকশা করছেন। গাগার সাঙ্গোপাঙ্গ তাঁকেই গিয়ে ধরেছিল দুটি মাস্ক বানিয়ে দিতে। তার মধ্যে একটি ওই শিংওয়ালা মাস্ক। মুর বলছিলেন, ‘আমি আসলে চিত্রকলার ছাত্র। সেলাই-ফোঁড়াইয়ের কাজও আমার ভালো লাগে।’ গাগার স্টাইলিস্ট নিকোলা ফরমিচেত্তি প্রথম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মুর কিন্তু মহামারি দেখা দেওয়ার বেশ আগে থেকেই মাস্কের নকশা করতেন। বলছিলেন, ‘গাগার দল সত্যি আমার কাজ পছন্দ করে। বিশেষ করে মাস্ক। কারণ এতে আমার দক্ষতা তৈরি হয়েছে। অন্যদের চেয়ে আলাদাও হয়। কারণ আমি আর্ট ও ফ্যাশন একসঙ্গে মেলাই।’

শিং দুটি হাতে পেয়ে মুর ভাবছিলেন এগুলো কোনো একটি মাস্কে যোগ করবেন। লেডি গাগার পক্ষ থেকে যখন তাঁকে কিছু করতে বলা হলো তিনি কাজ শুরু করতে দেরি করেননি। কারণ তিনি গাগার ভক্তও।

মুর বলছিলেন, ‘মাস্কের ইতিহাস বহু পুরনো। এটি মুখ ঢেকে দেয়; কিন্তু ব্যক্তিত্বে নতুন কিছু আরোপ করে। গাগা আমার মাস্ক পরার পর ভিড় সামলাতে পারছি না। বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।’

ফ্যাশনবোদ্ধারা বলেছেন, মাস্কটি অদ্ভুত, মজার এবং গা ছমছম করা।

মাস্কটির সঙ্গে ভাইকিংদের যোগসূত্র আছে কি না মুর তা বলেননি। তবে হ্যালো জিগেলসে (ইয়াহু নিউজ মারফত প্রাপ্ত) ক্লেয়ার হারমেয়ার বলেছেন, মনে হলো ভাইকিং আবহ তৈরি হলো মঞ্চে। আর ভ্যারাইটিতে ক্রিস উইলম্যান লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছিল আমরা কোনো অ্যালিয়েন (ভিনগ্রহবাসী) দেখছি, যার দুটি ভাইকিং শিং আছে।

ভাইকিং শিং
শিংয়ের অনেক রকম ব্যবহার ছিল ভাইকিংদের মধ্যে। যেমন নর্স পুরাণে আছে তাঁরা শিঙায় ফুঁ দিয়ে দেবতার আগমন ঘোষণা করত। আবার পানি পানের পাত্র হিসেবেও ব্যবহার করত শিং। আগেকার মানুষ শিকার করা প্রাণীর কোনো কিছুই ফেলতে চাইত না। একে তো এটাকে তারা দেবতার আশীর্বাদ ভাবত, তারপর শিকারে অনেক কষ্ট ছিল। তাই তারা প্রাণীটির শিংসহ সব কিছুর ব্যবহার নিশ্চিত করত। শিং কিন্তু তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্য আর সম্মানও প্রকাশ করত এবং এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে হস্তান্তরিত হতো। উল্লেখ্য, ভাইকিংরা স্ক্যানডিনেভিয়ার (ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন) আদিবাসী।

আরো সংবাদ