আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৪:১১

ম্যাজিস্ট্রেট সেজে চাঁদাবাজি, নারীসহ আটক পাঁচজন

চাতালে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ এনে চাঁদাবাজি করার সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় মণিরামপুরে চার ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন জনতা।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা অভয়নগরের মাগুরা এলাকায় একটি চাতাল মালিকের কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করে না পেয়ে ধাওয়া খেয়ে প্রাইভেটকারযোগে পালিয়ে এসেছেন।
তারা হলেন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০), খুলনার খালিশপুরের গোয়ালখালি এলাকার এসএম বাবর আলীর ছেলে মোস্তফা ফয়সাল (৩৫), ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ইতি খাতুন (২২), খুলনার দৌলতপুরের দক্ষিণপাবলা গ্রামের নূর মোহম্মদের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৩৫) এবং প্রাইভেটকার চালক ফরিদপুর জেলার শালতা উপজেলার বাউশখালী গ্রামের কমল শেখের ছেলে মনির শেখ (২৬)।

আটক জহিরুল নিজেকে ‘দৈনিক ফলাফল’ নামে একটি পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন; যে নামে কোনো পত্রিকা আছে কি-না শোনেননি স্থানীয়দের কেউ।
অভয়নগরের মাগুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ বিশ্বাস বলেন, ‘ওই এলাকায় আমার চাতাল রয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই ব্যক্তিরা একটি প্রাইভেট কারে (ঢাকা মেট্রো গ-২৩-৪৩২৯) করে চাতালে এসে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি অভয়নগরের ইউএনও-কে জানানো হয়। ইউএনও আসার খবর শুনে দ্রুত তারা গাড়িতে উঠে মণিরামপুরের দিকে যেতে থাকেন। আমরা ঢাকুরিয়ার লোকজনকে ফোন করে গাড়িটি আটকাতে বলি। পরে ঢাকুরিয়া বাজারের লোকজন গাড়িসহ পাঁচজনকে ধরে ফেলেন।’

গত সোমবার এই একই দল অভয়নগরের প্রেমবাগে দুটি হোটেলে ঢুকে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ওই সময় টিমের নারী সদস্য ইতি খাতুন একটি হোটেলের মিষ্টির পাতিল লাথি মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী সরদার বলেন, ‘দুপুর একটার দিকে আমি পরিষদে ছিলাম। তখন বাজারের লোকজন প্রাইভেট কারটির গতিরোধ করে তাদের পাঁচজনকে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। পরে থানা থেকে পুলিশ আসে।’
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বলেন, ওই পাঁচজন ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আছেন। তাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

আরো সংবাদ