যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে আবার পুরোদমে শুরু হলো সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়।
এর আগে গেল বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত চারদিন যবিপ্রবিতে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ছিল। ল্যাব পরিষ্কার তথা জীবাণুমুক্ত করার জন্য এই সাময়িক বিরতি নেওয়া হয়।
শনি, রবি ও আজ সোমবার বেশ কয়েকদফা ট্রায়াল রানও দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় বিকেলে নমুনা পরীক্ষার কাজে হাত দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমের সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার আজ রাতে জানান, বেলা একটা থেকে বিভিন্ন জেলার স্যাম্পল আসতে থাকে। এদিন মোট ৯১টি স্যাম্পল এসেছে। এর মধ্যে যশোরেরই রয়েছে ৪১টি।
তিনি জানান, যশোরের স্যাম্পলগুলো নিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সারারাত কাজ চলবে। ভোরের দিকে অন্তত যশোরের স্যাম্পলগুলোর ফলাফল দেওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
এর আগে রোববারই চার জেলার সিভিল সার্জনকে নমুনা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ইমেইল পাঠানো হয় যবিপ্রবি থেকে।
কিন্তু এর বাইরেও মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আজ নমুনা এসেছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। রাতে বলছিলেন, ‘কুষ্টিয়ার ল্যাবটি বন্ধ থাকায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার নমুনা যশোরে পাঠানো হয়েছে। এদিন মেহেরপুর থেকে ২১ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৪টি নমুনা এসেছে। আর ঝিনাইদহ থেকে এসেছে ১৫টি নমুনা। আজ নড়াইল থেকে কোনো নমুনা আসেনি।’
আজ দুপুরে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এই জেলা থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলো যবিপ্রবি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, তার নেতৃত্বাধীন টিম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় দ্বিতীয় টিম আজ পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে। এই টিমের নেতৃত্বে আছেন স্বয়ং উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন। আর রিপোর্টিংয়ের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার।