যশোর প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুরে সারথী মিলের পাশে নদী খননের নামে চলছে হরিলুট। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের “ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরন ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নদী খনন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “ডলি কন্সট্রাকশন লিঃ”। ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য , ৪৫ মিটার প্রস্থ ও ২.৫০ মিটার গড় গভীরতায় ১১ই ডিসেম্বর ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয়ে ১২ ই জুন ২০১৯ তারিখে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও তা শুরুই হয়নি । খননের দৈর্ঘ্য কনেজপুর হতে ভাঙ্গা জমিদার বাড়ী পর্যন্ত ।
প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও কাজ শুরু হয়নি মর্মে একটি তথ্য আসে আমাদের কাছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীতে কোন খনন কারার যন্ত্র (স্কেভেটর) ব্যবহার করা হচ্ছে না। ব্যবহৃত হচ্ছে বালি তোলার ভাসমান মেশিন। বালি তুলে বিক্রয় করা হচ্ছে পাশ্ববর্তী জমি ও পুকুরের মালিকেদের কাছে । যা তারা স্তুপ করে রাখছেন ভবিষৎ বিক্রয়ের জন্য। কেউ কেউ আমার নদীর পাশ্ববর্তী অন্যের জমি লিজ বা বিভিন্ন চুক্তিতে বেষ্টনি দিয়ে বালি দিয়ে ভরাট করে নিচ্ছে। বালি ভরাট করেছেন এমন একজনের সাথে কথা বললে তিনি জানান , আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে খুশি করতে কিছু টাকা দি । এজন্য তারাও এখানে বাঁধা প্রদান করেন না।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে , যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের শ্যালক হুমায়ন কবির কবু সহ অনেকেই চারদিকে বেষ্টনি দিয়ে বালির স্তুপ করেছেন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করেন , এখানে নদী খননের নামে চলছে হরিলুট। বালি তুলে বিক্রয় করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরাও বিষয়টি জানেন এবং মাঝে মধ্যেই এখানে আসেন । তাদের কে ম্যানেজ করেই চলছে হরিলুটের কাজ । খননকাজে নদীতে নামার কথা স্কেভেটর আর নেমেছে কী আপনারই দেখেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আকুল হুসাইনের কাছে ওয়ার্ক শিডিউল চাইলে তিনি জানান খনন কাজের নঁকশা ছাড়া তার কাছে ওয়ার্ক শিডিউল নাই। এরপর থেকেই এড়িয়ে যেতে থাকেন আকুল কিছুক্ষন পর খান রফিকুল ইসলাম নামে একজনের নাম্বার পাঠিয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে বলেন। কিন্তু সেই রফিকুল কে অনেক বার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ল্যান্ড ফোনে বার বার ফোন করলে তারাও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।