যশোর শহরের মণিহার-মুড়লী সড়কের ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে আইটি পার্কের সামনে ও বকচরের দুটি মার্কেট জেলা পরিষদের হওয়ায় উচ্ছেদ করা হয়নি।
সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছরের শেষের দিকে সড়কটির পুনর্নিমাণ কাজ শুরু হবে। এ লক্ষ্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় দেড় শতাধিক স্থাপনা অবৈধ বলে চিহ্নিত করে সওজ। এসব স্থাপনা মালিকদের নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে বলা হয়। এরজন্য মাইকিং ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরেও যারা ভেঙে নেয়নি তাদের স্থাপনা গতকাল সোমবার উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক ও জনপথ ্িবভাগের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা অনিন্দিতা রায়ের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফেরদৌস, সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরাও অভিযানে অংশ নেন। একটি পেলোডার, একটি স্কেভেটর দিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় মুড়লি ও বকচর এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এরমধ্যে মুড়লি থেকে ঢাকা রোড ব্রিজ পর্যন্ত ৭০টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ হয়। এরমধ্যে বকচর এলাকায় চয়ানিকা পেট্রোলিয়াম পাম্পের ভেতর থেকে একটি স্থাপনা সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয়া হয়। বাকি স্থাপনাগুলো আংশিক ভাঙ্গা হয়। তবে কয়েকটি বহুতল ভবন মালিকদের ভবন ভেঙে নেয়ার জন্য আরো সময় দেয়া হয়। বারান্দিপাড়া মাদ্রাসার গেটসহ দুটি ঘর অবৈধ হওয়ায় তা সরিয়ে নিতে সওজ কর্তৃপক্ষ। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ভাঙ্গা হয়নি। এদিকে বকচর ও আইটি পার্কর সামেন দুটি মার্কেট জেলা পরিষদের হওয়ায় তা ভাঙ্গা হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, ওই দুটি মার্কেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় হলেও বর্তমান জরিপে জেলা পরিষদের নামে রেকর্ড হয়ে গেছে। এ কারনে মার্কেট দুটি ভাঙা হয়নি। মাকের্ট না ভাঙা হলে রাস্তার কাজে চরম আকারে বাধার সৃষ্টি হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান ওই দুটি মার্কেট ভাঙার বিষয়ে জেলা পরিষদের সাথ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল জানান, রাস্তা করার স্বার্থে মার্কেট ভাঙলে কোনো আপত্তি নেই। তবে মালিকানা আমাদের থাকবে।