আজ - শুক্রবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:৫৬

যশোরে আদালতের রায় অপেক্ষা করে শংকরপুরে জমি দখল।

যশোরে সদরের শংকরপুরে আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারাকে উপেক্ষা করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আব্দুর রহিম ও তার গং। আদালতে চলমান মামলার জমি দখল নিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন তিনি। এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারের পরামর্শে কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শংকরপুর গ্রামের সালমা আক্তার বানী নামের এক ভূক্তভোগী।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে চাঁচড়া মৌজায় ২০ শতক জমি ক্রয় করেন ভূক্তভোগী বানীর মা সবুর জান। ত্রিশ বছর যাবত ক্রয় সূত্রে ভোগদখলও করে ধান চাষ করে আসছিলেন তারা। কিন্তু একই ওয়ারিশের পাশের জমির মালিক আব্দুর রহিমের নজর পড়ে সবুর জানের জমির উপর। রাস্তার পাশের জমি হওয়াই ত্রিশ বছর পর জমি নিজের বলে দাবী করেন রহিম। ২০২৪ সালে জমি নিজের দাবী করে আদালতে মামলা করেন। কিন্তু মিথ্যা মামলা হওয়াই আদালত থেকে সবুর জানের জমি হিসেবেই রায় দেন। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে আবারও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালাই রহিম। এসময় ইট ও বালি ফেলে জোরপূর্বক প্রাচীর তোলা শুরু করেন তিনি। প্রাচীর তুলতে বাধাঁ দিলে আব্দুর রহিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
আরও জানা যায়, নিজেদের ক্রয়কৃত জমি দখল আটকাতে আদালতের শরণাপন্ন হন। জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর দখল ও মালিকানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আব্দুর রহিম আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে আবারও মিস্ত্রি নিয়ে জমিতে প্রাচীর তোলার কাজ শুরু করেন। ভূক্তভোগী বিষয়টি নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারের শরনাপন্ন হন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চিরকুট দিয়ে আবারও কোতয়ালী থানা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আব্দুর রহিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বানী ও তার মা সবুর জান।
স্থানীয় খবির উদ্দিন বলেন, এই জমি সবুর জান ত্রিশ বছর আগে কিনেছিলো। সেই থেকেই এই জমি তারা চাষ করে আসছে। আমিও ৯ বছর এই জমি সবুর জানের থেকে লিজ নিয়ে ধান চাষ করেছি। কিন্তু এখন আব্দুর রহিম ক্ষমতা দেখিয়ে দখল করতে আসছে।
এবিষয়ে আব্দুর রহিম বলেন, আমি স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। ওসি স্যার তাকে আমাদের সাথে বার বার বসতে বলেছে কিন্তু তারা বসেনি। আমার কাছে একটা নোটিশ এসেছিলো। কিন্তু আমার জমি তাই আমি প্রাচীর তুলছি।
বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী বাবুল হোসেন বলেন, বিবাদী যদি ১৪৪ ধারা না মানে তাহলে বাদীকে উচিত আদালতকে জানানো। বিষয়টি নিয়ে থানার একজন এসআই কে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি দেখছে বিষয়টা।

আরো সংবাদ