আজ - শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১০:২৭

যশোর অঞ্চলে মাঘের শীতের দাপট শুরু

মাঘের প্রথম দিনেই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে বাতাস যুক্ত হওয়ায় বেড়েছে শীত অনুভূত হওয়ার মাত্রা। শুক্রবার নওগাঁর বদলগাছিতে এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার ভোরে বদলগাছিতে ব্যারোমিটারের পারদ নেমে যায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা সারা দেশে সবচেয়ে কম। যশোরে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর ঢাকাতে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চলতি শীত মৌসুমে এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও নওগাঁ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।

“১৭-১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। তারপর পরিস্থিতি একটু উন্নতির আশা করা যায়।”

বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।

শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদনদী অবববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা বলেছিল, যার একটি তীব্র রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

আরো সংবাদ