আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৩:১১

যশোর সদরে ১৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৭০ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার, সোমবার প্রতীক বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোর সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ১৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭০জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসব প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছ থেকে। এদিকে এসকল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় অনানুষ্ঠানিক সভা-সমাবেশে এলাকা মাতিয়ে তুলেছেন প্রার্থীরা। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমার্থকরা।

সদরের হৈবৎপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু বক্কার গাজী, জাকের পার্টি মনোনীত আবুল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোমিনুর রহমান। এছাড়া এ ইউনিয়নের সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যপদে আটজন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সাখাওয়াত হোসেন ও জাকের পার্টির পলাশ পারভেজ।

এর আগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শহিদুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল হয়। যদিও তিনি প্রার্থীতা হাইকোর্টে রিট করেছেন। তিনি প্রার্থীতা ফিরে না পেলে এ ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় চেয়ারম্যান হবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলীমুজ্জামান মিলন। এছাড়া সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে দুইজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

ইছালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান ও আওয়ামী লীগ সমর্থক শাহানারা খাতুন। এছাড়া এ ইউনিয়নের সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে দুইজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

নওয়াপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন, জেলা যুবলীগের সদস্য কেরামত আলী মোল্যা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান। এছাড়া সাধারণ সদস্যপদে চারজন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। উপশহরে সাধারণ সদস্যপদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন একজন।

কাশিমপুরের ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মী মেহেদী খালিদ হোসাইন, সজীব হাসান ও সোলায়মান এছাড়া, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে সাত জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। চুড়ামনকাটির ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

দেয়াড়া ও আরবপুর থেকে থেকে কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। তবে দেয়াড়ার সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ছয়জন ও সংরক্ষিত একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। আরবপুরের সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

চাঁচড়ায় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা। এছাড়া, সাধারণ ওয়ার্ডের ও সংরক্ষিত মিলে দুইজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। রামনগরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ জামাল উদ্দীন টুটুল প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে দুইজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফতেপুরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগ কর্মী আবু তাহের সনু। এছাড়া, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে চারজন ও সংরক্ষিত একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কচুয়া ও বসুন্দিয়ার কোনো চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থী প্রত্যাহার করেননি। নরেন্দ্রপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা রিজাউল ইসলাম নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত