আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - দুপুর ২:০৯

যশোর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ২৫ জনের ১৭ জনই ভারত ফেরত

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা রেডজোনে ভর্তি থাকা ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জনই ভারতফেরত বাংলাদেশি। যাদেরকে বাইরে থেকে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। পরে খাবারের সরঞ্জামাদি নিয়ে আসছেন স্বজনরা। ওষুধের প্রেসক্রিপশন আদান-প্রদান ও অন্যান্য অসতর্কতায় অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সচেতনমহল বলছেন, ভারতফেরত ওই করোনা রোগীরা ‘বি-ওয়ান-সিক্সসেভেনটিন’ করোনার ভাইরাস বহন করে থাকলে সেটা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, রোগীদের নেগেটিভ রেজাল্ট না আশা পর্যন্ত তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবেন না। ফলে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের দিয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ বা ভেরিয়েন্ট ছড়ানো সম্ভব নয়।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ জানান, হাসপাতালে রেডজোনে রোববার দুপুর পর্যন্ত মোট ২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৭ জন রয়েছেন ভারতফেরত বাংলাদেশি। তারা সকলে করোনা পজিটিভ। এছাড়াও নেগেটিভ রোগীদের ১৪ দিনের করেন্টাইনে জেলার বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছে। যাতে জেলার মধ্যে ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে না পড়ে।

তিনি আরও জানান, গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে সাতজন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যশোরে প্রবেশ করেন। এই করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন এবং ২৪ এপ্রিল একজন বেনাপোল বন্দর দিয়ে যশোরে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রশাসনের নির্দেশে তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অবশ্য সংবাদ প্রকাশের পরে প্রশাসন তাদেরকে ফের বাড়ি থেকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।

হাসপাতাল সূত্র মতে, হাসপাতালের তৃতীয়তলা করোনা রোগীদের রেডজোন ওয়ার্ডটি ৪০ শয্যার। একটি বেড থেকে অপর বেডের দুরত্ব তিন ফিট। স্বজনরা রোগীদের খাবার বাড়ি থেকে আনছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ওষুধ স্বজনরা ফার্মেসি থেকে নিয়ে ওয়ার্ডে সেবিকাদের দেন।

এদিকে রোববার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী মহিলা জুলি আক্তার জানান, এখানে এসে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট আতঙ্কে ভুগছি। জানি না কি হবে? আগে জানা থাকলে হাসপাতালে আসতাম না।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, ভারতেরকরোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ হাসপাতাল থেকে জেলায় যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সকল কর্মী কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, যাদের করোনা পজিটিভ তারা নতুন করে সংক্রমিত হবেন না। তবে যারা সংক্রমিত নন তাদের শরীরে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের আরটি পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর তারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোর একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এজন্য ভারতের কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্ট ‘বি-ওয়ান-সিক্সসেভেনটিন’ নিয়ে আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশের ভিতরের ভেরিয়েন্টটি নিয়ে এখনও আশঙ্কা দূর হয়নি। সংক্রমণ কমেছে এতে স্বস্তিবোধ করা যাবে না। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সে ব্যবস্থা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে করা হয়েছে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা রেডজোনে ভর্তি থাকা ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জনই ভারতফেরত বাংলাদেশি। যাদেরকে বাইরে থেকে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। পরে খাবারের সরঞ্জামাদি নিয়ে আসছেন স্বজনরা। ওষুধের প্রেসক্রিপশন আদান-প্রদান ও অন্যান্য অসতর্কতায় অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সচেতনমহল বলছেন, ভারতফেরত ওই করোনা রোগীরা ‘বি-ওয়ান-সিক্সসেভেনটিন’ করোনার ভাইরাস বহন করে থাকলে সেটা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, রোগীদের নেগেটিভ রেজাল্ট না আশা পর্যন্ত তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবেন না। ফলে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের দিয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ বা ভেরিয়েন্ট ছড়ানো সম্ভব নয়।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ জানান, হাসপাতালে রেডজোনে রোববার দুপুর পর্যন্ত মোট ২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৭ জন রয়েছেন ভারতফেরত বাংলাদেশি। তারা সকলে করোনা পজিটিভ। এছাড়াও নেগেটিভ রোগীদের ১৪ দিনের করেন্টাইনে জেলার বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছে। যাতে জেলার মধ্যে ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে না পড়ে।

তিনি আরও জানান, গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে সাতজন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যশোরে প্রবেশ করেন। এই করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন এবং ২৪ এপ্রিল একজন বেনাপোল বন্দর দিয়ে যশোরে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রশাসনের নির্দেশে তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অবশ্য সংবাদ প্রকাশের পরে প্রশাসন তাদেরকে ফের বাড়ি থেকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।

হাসপাতাল সূত্র মতে, হাসপাতালের তৃতীয়তলা করোনা রোগীদের রেডজোন ওয়ার্ডটি ৪০ শয্যার। একটি বেড থেকে অপর বেডের দুরত্ব তিন ফিট। স্বজনরা রোগীদের খাবার বাড়ি থেকে আনছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ওষুধ স্বজনরা ফার্মেসি থেকে নিয়ে ওয়ার্ডে সেবিকাদের দেন।

এদিকে রোববার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী মহিলা জুলি আক্তার জানান, এখানে এসে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট আতঙ্কে ভুগছি। জানি না কি হবে? আগে জানা থাকলে হাসপাতালে আসতাম না।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, ভারতেরকরোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ হাসপাতাল থেকে জেলায় যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সকল কর্মী কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, যাদের করোনা পজিটিভ তারা নতুন করে সংক্রমিত হবেন না। তবে যারা সংক্রমিত নন তাদের শরীরে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের আরটি পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর তারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোর একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এজন্য ভারতের কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্ট ‘বি-ওয়ান-সিক্সসেভেনটিন’ নিয়ে আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশের ভিতরের ভেরিয়েন্টটি নিয়ে এখনও আশঙ্কা দূর হয়নি। সংক্রমণ কমেছে এতে স্বস্তিবোধ করা যাবে না। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সে ব্যবস্থা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে করা হয়েছে।

সূত্র – সমাজের কথা

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত