আজ - সোমবার, ৩১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ১১:০২

যশ্যরে আজ থেকে জ্বালানি তেল সংকট দেখা দিতে পারে।

খুলনা বিভাগের ট্রাঙ্কলরি চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে নাশকতা মামলায় পুলিশ আটক করার প্রতিবাদে দুই দিন ধরে তেল পরিবহন বন্ধ রেখেছেন ট্রাঙ্কলরি চালকরা। এতে করে খুলনা বিভাগের তেল পাম্প গুলোতে জ্বালানি তেল শূন্য নেমে এসেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে পাম্পগুলো আর তেল সরবরাহ করতে পারবে না বলে ধারণা করছেন পাম্প মালিকরা।
খুলনা বিভাগের জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল জানান, রোববার খুলনার পুলিশ ট্রাঙ্কলরি চালক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে নাশকতা মামলায় পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এর প্রতিবাদে ওই দিন থেকে চালকরা জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রেখেছেন। যেকারণে ইতোমধ্যে বেশিরভাগ তেল পাম্পে তেল মজুদ শূন্য নেমে এসেছে। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে খুলনা বিভাগের প্রায় ৩শ পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে পড়বে।
শহরের বেজপাড়ার রফিকুল হাসান জানান, গতকাল চয়নিকা পাম্পে তেল নিতে গেলে মাত্র এক লিটার তেল দিয়েছে। বেশি চাইলে জানানো হয়ে পাম্পে তেল তেমন নেই। তারা বলছেন আগামীকাল (মঙ্গলবা) থেকে আর তেল পাওয়া যাবে না।
যশোর জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আতিকুর রহমান পিকু জানান, ট্রাঙ্কলরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ইতোমধ্যে যশোরের ৭১ তেল পাম্পে জ্বালানি তেল প্রায় শেষ। বেশিরভাগ পাম্পে তেল ফুরিয়ে গেছে। গুটিকয়েক পাম্পে তেল থাকলেও আজ (মঙ্গলবার থেকে আর বিক্রি করতে পারবেনা।) দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে এই অঞ্চলে জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়বে। যার প্রভাবে সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ হয়ে যেত পারে।
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, ‘আলী আজিমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রোববার থেকে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা তিন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং খুলনা বিভাগের ১০ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় পরিবহন বন্ধ করে দেন। আজও পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাদের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জামিন না হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না শ্রমিকরা।’
মীর মোকসেদ আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর রোববার রাতে যৌথ বাহিনী হামলা করেছে। রাতে আমরা যখন শ্রমিকদের সড়কের অবরোধ তুলে নেয়ার কথা বোঝাচ্ছিলাম এবং শ্রমিকরাও ব্যারিকেড সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখনই আমাদের ওপর হামলা করা হয়। আমিও পিটুনির শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ আছেন।’
খালিশপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ আগস্ট খুলনা নগরের খালিশপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমও একজন আসামি। ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইলিও আসামি।
যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান বাবলু জানান, আমরা প্রশাসের কাছে দ্রুত সমস্যার সমাধান আশা করছি। তা না হলে তেল না পেলে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়বে। যাতে দুর্ভোগে পড়বে যাত্রীরা।

আরো সংবাদ