আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ৯:১১

যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার : বিপাকে বসুন্দিয়ার পর্থচারীসহ সাধারন মানুষ।

হাসিবুল ইসলাম শান্ত : সারাদেশের রাস্তায় যানবহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার দেখা যায়। সম্প্রতি বসুন্দিয়া অঞ্চলে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহৃত এলইডি লাইটের প্রভাবে বিপাকে পথচারীরা। এ লাইটের ঝলসানো আলোয় রাস্তা ঝাঁপসা দেখা যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

বসুন্দিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামীন রাস্তায় অটোভ্যানের এলইডি হেডলাইটের আলো বড় আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যা রাতে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন এবং পথচারীদের চোখে তীব্র প্রতিক্রিয়া ঘটায়। রাতের বেলায় ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহৃত এলইডি হেড লাইট বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের সাথে দুর্ঘ টনার প্রধাণ কারণ।

ইদানিং বসুন্দিয়া অঞ্চলে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে পায়ে চালিত ভ্যান। রাতে বাজারসহ আশপাশের এলাকায় চলাচল করা দুঃসহ হয়ে উঠেছে কারণ এলইডি (ঝাঁপসা) হেডলাইটের তীব্র আলো বিপরীত প্রান্তের যান সড়কের প্রকৃত অবস্থান বুঝতে না পারায় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বসুন্দিয়া এলাকার এক অটোভ্যান চালক বলেন, অটোর আসল হেডলাইট ব্যবহার হলে চার্জ খরচ বেশী হয়, হেডলাইটের বাল্ব নষ্ট হলে এলইডি (ঝাঁপসা) হেডলাইট ব্যবহার করা হয়, ফলে কম খরচে বেশী আলো পাওয়া যায়।

একজন মোটর সাইকেল আরোহী বলেন, অটোভ্যানের অত্যাচারে রাতে মোটরযান চালানো খুব অসুবিধা হয়ে পড়েছে, সামনে অটো আসলে হেডলাইটের আলোয় কিছুই দেখা যায় না, চোখ একদম ঝাঁপসা হয়ে আসে, এতে করে আমাদের নিয়মিত জীবনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি।

এ অঞ্চলে অনেকেই মোটর সাইকেল, অটোরিক্সা, পিকআপসহ বিভিন্ন যানে ওই তীব্র ঝাঁপসা এলইডি লাইট ব্যবহার করেন। বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে তীব্র ঝাঁপসা এলইডি লাইটের ব্যবহার অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য থানা ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন পর্থচারীসহ সাধারন মানুষ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত