আজ - বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১০:১৬

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে প্রতিমন্ত্রী স্বপনকে পুঁজি করে মিকাইলের বিরুদ্ধে মামলা!

স্টাফ রিপোর্টার।।   যশোরের মনিরামপুরে একটি ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্টে লাইক কমেন্ট করায় মনিরামপুর ৫ আসনের এমপি ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সম্মানহানির অভিযোগ এনে মনিরামপুরের এক আওয়ামীলীগ নেতা সহ ৪ জনের বিরূদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন কথিত এক ছাত্রলীগ নেতা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মিকাইল হোসেনের মণিরামপুর বাজারের অফিসে বসে ‘জিলানী শেখ’ নামে একটি আইডি থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং মণিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টচার্য্য ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করে সম্মানহানি ঘটিয়ে চলেছেন। বিষয়টি জিয়াউর রহমান জিয়ার নজরে পড়ায় ব্যথিত হয়ে সম্মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে খলিয়ার গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মিকাইল হোসেন, ডুমুরখালি গ্রামের মোস্তফা কামাল, কুচলিয়া গ্রামের প্রণব বিশ্বাস ও তাহেরপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামকে।

কিন্তু যে ফেসবুক আইডি থেকে প্রতিমন্ত্রী স্বপনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে সেই আইডির মালিক অর্থাৎ জিলানী শেখকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতা মিকাইল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলার কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। “জিলানী শেখ” নামক ফেসবুক আইডি আমি বা আমার পরিচিতি কোন ব্যক্তি ব্যবহার করেনা। জালানী শেখ নামক ঐ ব্যক্তিকেও আমি চিনিনা। তবে সে তাঁর বিভিন্ন পোস্ট আমাকে, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু সহ অনেক গণমান্যদের ট্যাগ করে থাকে৷

এটা যদি অপরাধ হয় তবে নাজমা খানম, আমজাদ হোসেন লাভলুর নামে কেন মামলা হল না?

মূল ঘটনা হচ্ছে, এটা নিছক ষড়যন্ত্র এবং রাজনৈতিক প্রতিহংসা বৈ কিছু নয়। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই মনিরামপুর অঞ্চলের সকল নৌকা প্রেমী মানুষ গুলো স্বপন ভট্টাচার্যের পক্ষে ছিল। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলের কুকর্ম ফাঁস, ভাগ্নের চাল চুরি সহ নানা ছোট বড় ঘটনার কারনে মানুষ তাঁদের বয়কট করা শুরু করে৷ এই নৌকা প্রেমী মানুষ গুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছি আমি। সে কারনেই অতি উৎসাহী কথিত ছাত্রলীগ নেতা জিয়াকে দিয়ে মামলাটি করানো হয়েছে। এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করে দেখুক। মণিরামপুরে আমার কোন অফিস বা ব্যক্তিগত কার্যালয় নেই। আমাকে “জিলানী শেখ” বানানোর একটি পায়তারা তারা চালাচ্ছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত