যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না ঠিকাদার শামীম ও শাওন। সোমবার (২০ মে) দিনভর গাছ কাটতে দেখা যায় শ্রমিকদের। এদিন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে শ্রমিকরা জানান ঠিকাদার গাছ কাটতে বলেছেন। হয়তো তিনি উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানেন না।
এদিকে, স্থানীয়রা জানান সোমবার দিবাগত রাতেও গাছ কেটেছে শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২১ মে) শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো গাছ কেটেছে। খবর পেয়ে এদিন সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ-হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় এবং সাংবাদিকদের তৎপরতার কারণে ঠিকাদার শামীম ও শহরের নীলগঞ্জের বাসিন্দা শাওন কৌশল বদল করেছে। তাদের নির্দেশে রাতে গাছ কাটছেন অর্ধ শতাধিক শ্রমিক। বনবিভাগের একটি সূত্র জানায়-শামীম ব্লাকলিস্টেড। যশোর জেলা পরিষদের গাছ বিক্রির টেণ্ডারে তিনি কিভাবে অংশ নিলেন এবং টেণ্ডার পেয়েও গেলেন-যাবোধগম্য না। এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে শামীম ও শাওনকে পাওয়া যায়নি।
এরআগে ১৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ লেন সড়ক নির্মাণের টেণ্ডার আহবান না করা পর্যন্ত গাছ না কাটতে নির্দেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এদিকে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ কার্যকরে জেলা পরিষদ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যেকারণে দিনে ও রাতে গাছ কেটে সাবাড় করছে ব্লাকলিস্টেড ঠিকাদার শামীম-শাওন। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনে নামবেন-এমন হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন স্থানীয়রা