আজ - শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ১০:০৫

রানির পর মিলেছে টুনটুনির সন্ধান

দেখতে স্বাভাবিক বাছুরের চেয়ে ছোট তাই কৃষক আবুল কাশেমের শিশু ছেলে তার নাম দিয়েছে টুনটুনি। সম্প্রতি গিনেস রেকর্ড গড়া সাভারে রানির মতই খর্বাকৃতির দেহাবয়ব বাছুরটির। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ডধারী রানি মারা গেছে সম্প্রতি। ৪৩৬ দিন বয়সী টুনটুনির মাঝে অনেকেই রানির বৈশিষ্ট্য খুঁজছে। বাছুরটির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি। ওজন মাত্র ২২ কেজি।

জানা গেছে, এই বাছুরের জন্ম হয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্ৰামের আবুল কাশেমের রাড়িতে। গত বছরের ৮ ভাদ্র জন্ম নেয় বাছুরটি। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ওজন মাপার স্কেল ও ফিতা নিয়ে ওই গ্রামের কৃষকের বাড়িতে উপস্থিত হন। সাদা রঙের বাছুরটি বাছুরের দৈর্ঘ্য, পরিধি ও ওজন মাপা হয়।

দেশি জাতের এই বাছুরটির উচ্চতা, বয়স ও ওজন বিবেচনায় এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া সাভারের রানি নামের খর্বাকৃতির গরুর চেয়ে কিছু পার্থক্য আছে। রানির ওজন ছিল ২৬ কেজি। টুনটুনির ওজন মাত্র ২২ কেজি। রানির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি, টুনটুনির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি।

গরুর মালিক আবুল কাশেম জানান, দেশি জাতের আমার গাভীটি এর আগেও বেশ কয়েকটি বাচ্চা দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো স্বাভাবিক ছিল। এই বাছুরটি ছোটো বামন আকৃতির হয়েছে।

কৃষক আবুল কাশেমের স্ত্রী জরিনা জানান, কিছুটা খরগোশের মত ছোট আকৃতির হয়ে জন্ম নেয় বাছুরটি। জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। এত ছোট আকৃতির বাছুর তারা এর আগে এলাকায় কেউ দেখেনি। প্রায় প্রতিদিন সবাই বাছুরটিকে দেখতে ভিড় করে।

গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম উকিল উদ্দিন বলেন, টুনটুনির ওজন ২৩ কেজি ও উচ্চতা ২২ ইঞ্চি বলে জানা গেছে। জিনগত খনিজ ঘাটতি ও হরমোনের কারণে এমনটি হতে পারে। আমাদের কয়েকজন চিকিৎসক বিষয়টি অবজারভেশন করছেন। এমন আকারের গরু আমি এখনো দেখিনি। তবে রেকর্ডের আওতায় যদি পড়ে তাহলে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো সংবাদ