আজ - মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৮:৪৭

রামনগর ইউপি আ’লীগ কাউন্সিল ইস্যু: আমি সেবক হতে চাই বললেন লাইফ।

মুনতাসির মামুন, জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক : যশোর জেলা তরুণ লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও রাজারহাট শান্তি শৃংঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান লাইফ বলেছেন আমি নেতা হতে চাই না, আমি সেবক হতে চাই। বৃহস্পতিবার খানজাহান আলী 24/7 নিউজ কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

লাইফ বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে যুবলীগের রাজনীতির মাধ্যমে যশোরের রাজনীতিতে আমার পথচলা শুরু।সেই থেকে আজ পর্যন্ত  দীর্ঘ  এই পথচলার মাঝে   নির্যাতন জেল জুলুম হয়রানির শিকার হয়েছি বারবার। তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত হইনি কখোনো। লাইফ আরোও বলেন শুধুই যে নির্যাতন জেল জুলুম হয়রানির শিকার হয়েছি  এমনটি নই মানুষের অফুরন্ত ভালবাসাও পেয়েছি।

তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন , এক এগার সহ আওয়ামিলীগের ক্রান্তিলগ্ন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে সবথেকে বেশি সংযোগ রয়েছে আমার। এবং আন্তরিকতায় সুবিধা অসুবিধায় বিপদে আপদে আমি দলের নেতাকর্মীদের পাশে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ছিলাম আছি ভবিষৎও থাকবো।আমি নেতা হতে চাই না, আমি সেবক হতে চাই।

যশোর জেলা তরুণ লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও রাজারহাট শান্তি শৃংঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক, সহ মাহমুদ হাসান লাইফ একাধারে, রাজারহাঁট বাজার বণিক সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক,মুড়লি বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক, মুড়লি তাঁরা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্মসাধারন সম্পাদক,মুড়লি দারুস সালাম উম্মুল কোর‌আন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সুতিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের  সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মাহমুদ হাসান লাইফ বলেন, রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আগামী কাউন্সিল অধিবেশনে আমি অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আগামী কাউন্সিল অধিবেশনে আমি সাধারন সম্পাদক  সম্পাদক হতে পারবো। মানুষের দোয়া ভালবাসা“ই” আমার শক্তি ও প্রেরণার মূল উৎস।

আমাদের সকলের স্বপ্নের রামনগরকে সকল শেণ্রী পেশার মানুষের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধশালী ইউনিয়নে রুপান্তরিত করতে চাই। আমি যুব সমাজের সকল যৌক্তিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে প্রায় একযুগ ধরে গন মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতা পেলে আমি বিজয়ী হবো। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যেসব অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি ও আগামীতে করে যাবো। 

আরো সংবাদ