নিজস্ব প্রতিবেদ : শার্শার রামপুর বাজারে অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে গড়ে উঠেছে আল-আমিন বেকারী। ভেজালের সমারোহে ভরপুর এই বেকারীর উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী। ফলে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীন জনস্বাস্থ্য। জানাগেছে, শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের জনৈক দেলোয়ার হোসনে কয়েক বছর পূর্বে রামপুর বাজারে অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে আল-আমিন বেকারী নামের একটি খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। তার এই বেকারীর উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার কেক, বিস্কুট, পাউরুটি টোস্ট ও চানাচুর সহ সকল প্রকার খাদ্য দ্রব্য তৈরি করছে মেয়াদ উর্ত্তীন অতি নিম্নমানের খাবার অনুপযোগী ময়দা, চিনির পরিবর্তে মানব দেহের জন্য ক্ষতি কারক স্যাকারিন, ঘন চিনি, অতি সস্তায় কেনা মেয়াদ উর্ত্তীন পচা ডিম দিয়ে। পরবর্তীতে সুন্দর প্যাকেটে করে বাজারজাত করা হয়। এসব কারখানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই নেই। কোন শ্রমিকের সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্য কার্ড নেই। অত্যন্ত নোংড়া পরিবেশে তৈরি এখাদ্য খেলে ডায়েরিয়া, আমাশা, গ্যাষ্টিক সহ নানা রকম পেটের পীড়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
শার্শা-জামতলা রোডের পাশে রামপুর বাজারে অবস্থিত এ আল-আমিন বেকারী বছরে কয়েক লক্ষ টাকার খাদ্য পন্য সামগ্রী উৎপাদন ও বাজার জাত করে থাকে। বি,এস,টি,আই এর অনুমোদন না থাকলেও সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত স্যানেটারী ইন্সপেক্টরকে মাসিক নিদিষ্ট মাসোহারা দিয়ে বেকারী মালিক বহাল তবিয়তে চালাচ্ছে তার ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের ব্যবসা। বছরে কয়েক লক্ষ টাকার খাদ্য পণ্য বিক্রি করে বেকারী মালিক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। সেই সাথে দিন দিন ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীন জনস্বাস্থ্য। সূত্র জানায়, এখানে অতি গোপনে দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ফুড কোম্পানীর ব্র্যান্ড নকল করে হুবহু প্যাকেটে করে একটি বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজার জাত করা হয় বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে আল-আমিন বেকারীর সত্তাধিকারী দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বেকারীর কাগজ পত্র আছে। তাছাড়া আমি জেলা বেকারী সমিতির সদস্য হওয়ায় আমার কোন সমস্যা হয় না। আমি সব ম্যানেজ করে চলি। বেকারীতে ম্যাজিস্ট্রেট রেড দেওয়ার পূর্বে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আমাকে ফোন করে সতর্ক করে দেয়।