আজ - শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:১৪

সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আবারও বলেছেন, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও সে রকম পরিস্থিতি হয়নি।

আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। দীপু মনি বলেছেন, তিনি আগেও বলেছেন, কোথাও যদি মনে করেন, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি প্রয়োজন হয় বন্ধ করে দেওয়া, তাহলে কোনো দ্বিধা করবেন না। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও সে রকম পরিস্থিতি তেমনভাবে হয়নি। তবে যদি কোথাও হয়, নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেখানে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। সেগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, তারা সেগুলোর ব্যাপারে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’

মানিকগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাঁরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছেন, ওই শিক্ষার্থী শুধু ১৫ সেপ্টেম্বর একবার স্কুলে এসেছিল, এর ৬-৭ দিন দিন পরে তার করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মৃত্যুবরণ করে। সিভিল সার্জন বলেছেন, ওই ছাত্রী এক দিনই স্কুলে এসেছিল। তখন তার কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। যে কারণে সেখানে সবার আর পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই, তারপরেও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে দশম শ্রেণির একজন শনাক্ত হয়েছে। তখন যতজন ক্লাসে ছিল সবার পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষার্থীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার যেসব খবর আসছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোথাও সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জায়গায় সঙ্গে সঙ্গেই অনুসন্ধান করছি। তবে আশার বিষয় হচ্ছে যে শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছে এখানে আক্রান্ত, ওখানে আক্রান্ত, আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও সত্যতা কিন্তু পাইনি। তারপরেও অতিমারি চলমান। কাজেই তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।’

প্রাক্‌–প্রাথমিকের শিশুদের এই মুহূর্তে স্কুলে আনতে চাচ্ছেন না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তাদের সপ্তাহে এক দিন আনা হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘না, একদমই না। এই মুহূর্তে না। তারা এখন বাড়িতে থাকুক। তিন সপ্তাহ পার হোক তারপর আবার সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়।’

আরো সংবাদ