আজ - শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৪:২৬

সন্তানের পিতৃপরিচয়, স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন কেশবপুরের সেই নারী

সন্তানের পিতৃপরিচয়সহ স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন কেশবপুরের পাঁজিয়ার সেই নারী। স্থানীয় এক ব্যক্তির বিয়ের প্রলোভনে স্বামীর মৃত্যুর দশ বছর পর তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তানের পিতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিয়েছেন।
গত ৬ মার্চ ‘কেশবপুরে স্বামীর মৃত্যুর দশ বছর পর নারীর সন্তান প্রসব!’, ৭ মার্চ ‘আমবাগানে ডেলিভারি করানো হয় সেই গৃহপরিচারিকাকে’ এবং ১০ মার্চ ‘অর্থের বিনিময়ে পিতৃপরিচয় অস্বীকার করতে চাচ্ছে ইয়াকুব!’ শিরোনামে তিনটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। তারা ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সন্তানের পিতৃপরিচয় দেয়ার জোর দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ওই নারী নবজাতককে নিয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুলকে সবিস্তার জানান। এরপর চেয়ারম্যান ওই সন্তানের পিতা ইয়াকুব আলীকে পরিষদে ডেকে পাঠান।
চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান, সন্ধ্যায় ইয়াকুব আলী পরিষদে এসে ওই নারীকে স্ত্রী ও তার সন্তানকে নিজের হিসেবে মেনে নেন। এ ব্যাপারে ইয়াকুব আলী লিখিত দিয়েছেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ ইয়াকুব আলীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৩ মার্চ ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি আমবাগানে গোপনে নিজের গর্ভপাত ঘটান। পরে নবজাতককে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে ফেলে দেয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশের এক নারীর সন্দেহ হয়। তিনি কাছে যেয়ে নবজাতককে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জানান।
শিশুটি জীবিত থাকায় এলাকাবাসী দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ওই দিনই শিশু ও তার মাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে গ্রামের কাগজ ধারাবাহিক রিপোর্ট করলে বিচার মেলে তার।

আরো সংবাদ