আজ - সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:০২

সন্ধান মিলেছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাওয়া নবজাতকের স্বজনদের

যশোর জেনারেল হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতকের স্বজনদের সন্ধান মিলেছে। হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছে শিশুটির মা।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ওই নবজাতকের নানী শিশু ওয়ার্ডে এসে তার খোঁজ-খবর নেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগে নবজাতকটিকে রেখে যায় তার নানী। এরপর দুপুর তিনটার দিকে ওই নারী আবারো ওয়ার্ডে আসে এবং বাচ্চাটির শরীর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে ফের চলে যান। এরপর আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বজন পাওয়া না যাওয়ায় দায়িত্বরত সেবিকারা বাচ্চাটিকে চিকিৎসা দেন। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফিরে আসেন নবজাতককে রেখে যাওয়া সেই বৃদ্ধ নারী।

নবজাতকের নানী নাহার বেগম বলেন, নবজাতকটি জন্মানোর পরে চিকিৎসকরা শিশু ওয়ার্ডে রাখার কথা বলেছিলেন। যে কারণে আমি শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে রেখে আসি। মেয়েকে দেখার কেউ ছিল না তাই আমি মেয়ের পাশেই ছিলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরেও শিশুটিকে দেখে আসি। পরে আরও কয়েকবার শিশু ওয়ার্ডে গেলেও দরজা বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারিনি। আজ (শুক্রবার) সকালে শিশু ওয়ার্ডে আসলে সবাই শিশুটি ফেলে যাওয়ার ঘটনা জানায়। আমরা শিশুটিকে ফেলে যাইনি। লোক না থাকায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

নবজাতকের মা কাকলি বেগম বলেন, এটা আমার পঞ্চম কন্যা সন্তান। বাচ্চা হওয়ার পরে আমি দীর্ঘ সময় অচেতন ছিলাম। বৃদ্ধ মা ছাড়া আমাকে দেখার কেউ হাসপাতালে নেই। এই ওয়ার্ডের নার্সরা যদি একটু সহযোগিতা করতো তাহলে এমন কিছু হতো না। আমার নাড়ি ছেঁড়া ধনকে আমি কেন ফেলে যাব।

এদিকে অপুষ্ট অবস্থায় জন্ম নেয়া শিশুটির বর্তমান অবস্থা মোটামুটি ভালো। যে কোনো সময় এ ধরনের শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় যেতে পারে। যে কারণে শিশুটিকে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মাহবুবুর রহমান।

নবজাতকটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পরানপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কাকলি বেগম দম্পতির পঞ্চম কন্যা সন্তান।

 

আরো সংবাদ