সোনার দাম যে হারে বাড়ছে তাতে আগামীদিনে সোনা হয়তো মানুষের বাড়িতে নয় পাওয়া যাবে মিউজিয়ামে। সুদূর মরু দেশের চিত্রটাও একই রকম। আরবের সোনাপ্রেমীরা এখন সোনার দোকান থেকে দূরে দূরেই থাকছেন। গালফ নিউজের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাহিদাও কমেছে ৬০- ৭০ শতাংশের মতো। তবে কথায় বলে কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। ক্রেতারা দোকান বিমুখ হলেও তাতে লাভ কমেনি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। বরং সোনার দাম যত বাড়ছে তারা প্রতিযোগিতার বাজারে টিঁকে থাকার পথ নিজেরাই করে নিয়েছেন । সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে স্বর্ণ ব্যাবসায়ীরা তাদের অতিরিক্ত সোনার স্টক বিক্রি করে নগদ জোগাড় করছেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তারা ধার শোধ করার চেষ্টা করছেন।
আগস্টের শুরুতে সোনার দাম প্রতি আউন্স ২,০৭৫ ডলার ছিল এখন তা ১৯৪৯ ডলার প্রতি আউন্স। লকডাউন শুরুর পরে সোনার দাম বৃদ্ধি প্রায় ৩৫ শতাংশ। সেই সময়েই ক্ষতির মধ্যে দিয়ে চলা দোকানগুলি বন্ধ করে, বাজেট কাটছাট করে ভবিষ্যতের জন্য টিঁকে থাকার লড়াইয়ে যে সমস্ত স্বর্ণব্যবসায়ীরা নেমে পড়েছিলেন তারাই লম্বা রেসের ঘোড়া বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।