আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১১:০২

হুমকি নেই, জায়নামাজ ছাড়া সঙ্গে কিছু নয়’ : ডিএমপি কমিশনার।

রিমন খান, ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতরে সুস্পষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এরপরও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যথেষ্ট সতর্ক থাকার কারণ রয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করতে আসা প্রত্যেককে তিন ধাপে তল্লাশি শেষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। সঙ্গে জায়নামাজ ও প্রয়োজনে ছাতা ছাড়া কিছু আনা যাবে না।

তিনি বলেন, ঈদে কিংবা ঈদ জামাতে সুস্পষ্ট কোনো নিরাপত্তার হুমকি নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যথেষ্ট সতর্ক থাকার কারণ রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। ঈদকে ঘিরে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাই কারো ভীত হওয়ার কারণ নেই।

তিনি বলেন, শিক্ষাভবন, মৎস্যভবন ও প্রেসক্লাবের সামনে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সবাইকে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এই এলাকায় কেউ গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এর পরের ধাপে মূল গেইটে এবং ঈদগাহের ভিআইপি জোনের আগে আরো দুই দফা আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে।

ঈদ জামাতে অংশগ্রহণের জন্য আগত মুসল্লিদের জায়নামাজ এবং প্রয়োজনে ছাতা ছাড়া অন্যকিছু না আনার আহ্বান জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সবাইকে তল্লাশি করা হবে, এজন্য যদি গেইটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হলেও সবাইকে ধৈর্য সহকারে পুলিশকে সহযোগিত করার আহ্বান রইলো।

‘ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে ঈদগাহ মাঠ সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ এবং বায়তুল মোকাররমে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।’

পুলিশের পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের সদস্যদের সমন্বয়ে ঈদগাহের চতুর্পাশে বহিঃবেষ্টনী গড়ে তোলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে পুরো ঢাকাজুড়েই চেকপোস্ট জোরদার রয়েছে। পোশাক এবং সাদা পোশাকেকে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

ডিএমপি কমিশনার জানান, ঈদকে ঘিরে ঢাকাজুড়ে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছিলো, রমজানে প্রথম পর্ব শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। রমজানে এখনো বলার মতো রাজধানীতে কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়নি। আশা করছি ঈদের নামাজও হবে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। ঈদ পরবর্তী সময়েও ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় পুলিশের বিশেষ প্রস্তুতি রয়েছে।

নাগরিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো সমস্যা প্রয়োজনে পুলিশকে জানাবেন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে ঈদগাহে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং ৯৯৯ এ জানানোর অনুরোধ রইলো।

ঈদে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কয়েক স্তরে সুদৃঢ় ও সমন্বিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও জানান ঢাকার কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশের ওপর হামলার প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি এখনো তদন্তাধীন, তাই এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করার সুযোগ নেই। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ফিজিক্যালি তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছি এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আশা করছি শিগগির হামলার কারণ এবং কারা হামলা চালিয়েছে বের হয়ে আসবে।

এর আগে পুরো ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখেন এবং ডিএমপির ডগ স্কোয়াড আয়োজিত বিশেষ মহড়া পরিদর্শন করেন কমিশনার।

আরো সংবাদ