আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:০৮

৪ জানুয়ারি উপলক্ষে চাঁদা তুললেই কঠোর ব্যবস্থা: হুশিয়ারী শাহী’র।

নাঈম সাব্বির,স্পেশাল করসপন্ডেন্ট জনদূর্ভোগ ও পলিটিক্স

৪ জানুয়ারি ১৯৪৮ এই দিনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ৪ জানুয়ারি নানা আয়োজন ও শ্রদ্ধার সাথে পালিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি বা জন্মদিন।

কিন্তু এই ঐতিহাসিক দিনকে ঘিরেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বারবার, অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছে, হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই দলটি। যে দলটির অবস্থান মানুষের হৃদয়ে থাকার কথা সে দলটিও চাঁদাবাজ আখ্যা পায় কিছু কিছু দূর্বৃত্তের কারনে। তবে এবার আগে থেকেই হুশিয়ারি দিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী। তিনি বলেন কোন ছাত্রের পক্ষে চাঁদা চাওয়া সম্ভব নই। যারা গোপনে এ হীন কাজ করে তারা ছাত্রতো নই বটেই ছাত্রলীগেরও কেউ নই। বঙ্গবন্ধু আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে যারা প্রাণের সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে টাকা নিয়ে নিজেদের উদরপূর্তির নেশায় ব্যস্ত এবার তাদের বিরূদ্ধে কঠিনতম এ্যাকশনে যাবে জেলা ছাত্রলীগ। চাঁদার টাকায় ছাত্রলীগের কোন প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি আজ পর্যন্ত পালিত হয় নাই বলেন শাহী, পূর্বে চাঁদার অভিযোগ সম্পর্কে শাহী বলেন পূর্বের কমিটির ঘটনাটি আমিও শুনেছি। কিন্তু সে চাঁদায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকির চিলতে পরিমাণ কাজে আসেনি। কারন চাঁদা যে তোলা হয়েছে সে অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি পালিত হবার কিছুদিন পরে। তারপর আমরা অনেকটা অবাক হয়েছি তদন্ত করে দেখেছি যারা চাঁদাবাজি করেছে তারা আদৌ ছাত্রলীগের কোন ইউনিটেরও কিছু ছিলোনা। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা চাঁদাবাজি করেছে তারা শ্রেফ চাঁদাবাজ বৈ কিছু নই। ছাত্রলীগ সে দিন কলম সন্ত্রাসেরও শিকার হয়েছিলো, কিছু পত্রিকা সে দিন দূর্বৃত্তদের ঐ ঘটনার দ্বায় রং লাগিয়ে ছাত্রলীগের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছিলো। তাই এবার সর্বসস্তরের মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান শাহী। খানজাহান আলী 24.com এর সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। যে ব্যক্তিই ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা চাইবে তার বিরূদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করবো- চাঁদা চাইতে গেলে প্রশাসন বা আমাদের জানান আমরা সাথে সাথে এ্যাকশান নিবো, ছাত্রলীগের গৌরব ঐতিহ্য আর খাঁটো হতে দেবো না- হোক সে যত বড় ক্ষমতাধর এমন হুশিয়ারি উচ্চারন করেন শাহী। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা ও সাহয্য কামনা করেন এ ছাত্রনেতা। কাজটি খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে প্রসঙ্গে শাহী বলেন,যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো গঠিত হয়নি সে জন্য এই কমিটি সবার কাছে পরিচিতি আর কেউ কোন পদের দোহায় দিতেও পারবে না, সে জন্য এ চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করা সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বদানকারীদের অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করার পরামর্শও দেন শাহী। এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও ইতি মধ্যে প্রকাশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। সেখানে চাঁদাবাজির বিরূদ্ধে স্পষ্ট হুশিয়ারি ও ছাত্রলীগের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত