আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৭:৩৮

বংশীয় পরিচয় সংগ্রহ করে নতুন সদস্য নির্বাচিত করা হবে: শাহীন চাকলাদার।

স্টাফ রিপোর্টার : এক সময়ের বিএনপির কর্মীরা আওয়ামী লীগের মধ্যে ঢুকে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে সরকারের ভাবমুর্তি খারাপ করছে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। তাই এবার দাদা-বাবার পরিচয় পর্যালোচনা করেই যশোরে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ বিকালে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক শোক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহীন চাকলাদার এসব কথা বলেন।

শাহীন চাকলাদার আরো বলেন, বাঙালি জাতির শোকের মাস চলছে। এই মাসে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ কারাগারের মধ্য জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই সেদিন জিয়াউর রহমানরা এসব হত্যার পরিকল্পনা করে।

তিনি বলেন, কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা দলের হাল ধরে তৃণমূলকে সাথে নিয়ে আজ আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছেন। দেশকে উন্নয়নের কাতারে তুলেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ২৩ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। তারেক রহমানের নির্দেশে ২১ আগস্টে শেখ হাসিনার সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তাই শোককে আমাদের শক্তিতে রুপান্তর করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তর করে রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে শাহীন চাকলাদার বলেন, এখন সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কখনো মাদ্রাসায় জামায়াতের শিক্ষকরা শিশুদের ধর্ষণ করছে। আবার কখনো প্রিয়া সাহাদের ভাড়া করে বিদেশে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, উপ-প্রচার সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, সদস্য আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, কাজী আলমগীর হোসেন, কবিরুল আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হযরত আলী, জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিয়ামত উল্যাহ, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির শিপলু, সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক কাজী তৌহিদুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মুমেল হোসেন প্রমুখ।

আরো সংবাদ