স্টাফ রিপোর্টার : মনিরামপুরে ইয়াবা কেনার ৫০০ টাকাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত নয়জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের কদমবাড়িয়া গ্রামে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বাবু নামে একজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটকের কয়েকঘন্টা পর পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানাযায়, রোববার সন্ধ্যায় বাকোশপোল গ্রামের ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক বাবুর নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন যুবক হাতুড়ি ও জিআই পাইপ নিয়ে কদমবাড়ীয়া গ্রামে শিমুলের দোকানে এসে আমরান নামে এক যুবকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় দোকানে বসে থাকা অন্যরা এগিয়ে আসলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে কদমবাড়ীয়া গ্রামের মতিয়ার, আমিনুর, মিজানুর, আমরান, তার মা ফুলজান বেগম, শেলিনা, মনিরা ও বাকোশপোল গ্রামের বাবু এবং রুবেল আহত হন।আহতদের মধ্যে মতিয়ার, আমিনুর, মিজানুর ও আমরান যশোর সদর হাসপাতালে এবং রুবেল মণিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাবু ও আমরান দুই জনই মাদকসেবী। প্রায় তিন মাস আগে বাবু ইয়াবা কিনে দেওয়ার জন্য আমরানকে ৫০০ টাকা দেন। আমরান ইয়াবা কিনে না দিয়ে সেই টাকা খরচ করে ফেলেন। সেই টাকা নিয়ে তাদের দুই জনের মধ্যে বিরোধ।
এদিকে এলাকাবাসী ওই রাতেই একটি দা, লোহার রড, চাকুসহ বাবুকে ধরে খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশে খবর দেন।পরে ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে বাবুকে ফাড়িতে নিয়ে যান।
পরে রাত দশটার দিকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে এসআই সালাউদ্দিন ক্যাম্প থেকে বাবুকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসআই সালাউদ্দিন বলেন, বাবুকে স্থানীয়রা ধরে খুব মারপিট করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
এসময় উপস্থিত কয়েকজন দা,শাবল ও পাইপ এনে আমার কাছে দিয়েছে। তবে সেগুলো বাবুর কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সালাউদ্দিন আরও বলেন, মিমাংশা করবেন বলে দুই পক্ষের দুইজন ইউপি সদস্য আমার কাছে এসেছেন। মিমাংশার স্বার্থে বাবুকে তার ভাই আলাউদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।