আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ২:২৫

এলজিইডির গাড়ির চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার।

আজ বুধবার সকালে পুলিশ অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪৫) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।  পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডের মাধ্যমে পুলিশ নিহতের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। 


যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের সাতমাইল এলাকায় কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ব্রিজের কাছে লাশটি পড়েছিল।


যশোর সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুন্সি আনিসুর রহমান জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাই- সেখানে গলায় দড়ি বাঁধা একটি লাশ পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, মরদেহের গলা কাটা। তার গায়ে সাদারঙের গেঞ্জি এবং পরনে কালো জিন্স ছিল। তার পকেটে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা রয়েছে- হাসানুজ্জামান, বাবা- জহুরুল আলম, বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের জুুগিয়া গ্রামে।


পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কর্মকর্তারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা মরদেহ নিতে কুষ্টিয়া থেকে যশোরে রওয়ানা দিয়েছে। নিহতের সেঝভাই হাকিমুজ্জামান কাবলু বলেন, আমার ছোটভাই হাসানুজ্জামান ঝিনাইদহ এলজিইডির গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত ছিল।  সে ঝিনাইদহেই বসবাস করতো। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর থেকে পুলিশ ফোন করে তার মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায়।  অফিসে ফোন করে জেনেছি, ২৭ তারিখ সকালেও সে অফিসের কাজ করেছে।  কীভাবে কী ঘটে ঘটে গেল- বুঝে উঠতে পারছি না।


যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনও রক্তের দাগ দেখতে পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ এবং পরে গলা কেটে হত্যার পর কেউ মরদেহ এখানে ফেলে রেখে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


তিনি জানান, নিহতের পকেটে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড পাওয়া গেছে।  তা থেকে বোঝা গেছে, তিনি একজন গাড়িচালক।  যতদূর শুনেছি, তিনি ঝিনাইদহ এলজিইডিতে কর্মরত ছিলেন।  কুষ্টিয়ায় তার পরিবারের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে। 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত