আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিহত মো. ফিরোজ-উল আমিন লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটির ওপর পিএইচডি করার পাশাপাশি ওই গ্যাস স্টেশনে খণ্ডকালীন ক্লার্কের কাজ করতেন।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার একটি গ্যাস স্টেশনে ডাকাতির সময় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে ইস্ট ব্যাটন রুজে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মালিকানাধীন মি. লাকি’স ভ্যালারো গ্যাস স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মো. ফিরোজ-উল আমিন (২৯) লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটির ওপর পিএইচডি করার পাশাপাশি ওই গ্যাস স্টেশনে খণ্ডকালীন ক্লার্কের কাজ করতেন।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে এক বন্দুকধারী ওই গ্যাস স্টেশনের অফিস ভবনে ঢোকে এবং ফিরোজকে গুলি করে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। গুলিবিদ্ধ ফিরোজ ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে ইস্ট ব্যাটন রুজ শেরিফ অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
———————————————————————
আরও পড়ুন : ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ মন্ত্রী আম্বার রাডের পদত্যাগ
———————————————————————
ফিরোজদের বাড়ি গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। গত বছর সেপ্টেম্বরে তার বাবা মারা যান। দুই ভাইবোনের মধ্যে ফিরোজ ছিলেন বড়। তার মৃত্যু সংবাদে ছোট বোন ও মা ভেঙে পড়েছেন বলে ফিরোজের বন্ধুরা জানিয়েছেন।
লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা আরেক বাংলাদেশি রিয়াজ আহমেদ জানান, সামনের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল ফিরোজের। তখন তার বিয়ের আয়োজন করছিলেন তার মা।
বিয়ের জন্য টাকা জমাতে গত কয়েক মাস ধরে ওই গ্যাস স্টেশনে কাজ করছিল ফিরোজ। গত সপ্তাহে বিয়ের আংটিও কিনেছিল।
কাল সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে ফিরোজের লাশ হস্তান্তর করা হতে পারে। এরপর দেশে পরিবারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা ফিরোজ এক সময় টাইগার আইটিতেও কাজ করেছেন। লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে তিনি অধ্যাপক গোল্ডেন জি রিচার্ডের অধীনে পিএইচডি করছিলেন।
পাঁচ দিন আগে নিউ ইয়র্ক সিটির রিচমন্ড হিল এলাকায় মো. শাহেদ উদ্দিন (২৭) নামে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। তার বাবা বাবরউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি।
পরপর দুজন বাংলাদেশি হত্যা এ নিয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।