সব সেক্টরে দুর্নীতিবাজ লোকদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নিজের ঘর থেকে শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযানের সূচনা করেছেন। অন্যান্য দলেও অনেকে বড় বড় কথা বলছেন। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, দুর্নীতি করে কাদের আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। খোঁজ নেয়া হবে প্রশাসনে কারা দুর্নীতিবাজ। সব সেক্টরে খারাপ লোকদের খুঁজে বের করা হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দশটা ভালো কাজকেও একটা খারাপ কাজ ঢেকে দিতে পারে, ম্লান করে দিতে পারে। শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীস বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ, সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান টিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা মাদককে না বলুন। দুর্নীতিকে না বলুন। সন্ত্রাসকে না বলুন। টেন্ডারবাজিকে না বলুন। চাঁদাবাজিকে না বলুন। ভূমি দখলকে না বলুন। অন্যের বাড়ি দখলকে না বলুন। পরিষ্কার ম্যাসেজ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এই ম্যাসেজ আমি সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মীদের কাছে, নেতাদের কাছে দিয়ে গেলাম।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজরা, মাদক ব্যবসায়ীরা সাবধান। লুটেরারা সাবধান, সন্ত্রাসীরা সাবধান। দুর্নীতিবাজরা সাবধান। এদের ঠাঁই নেই শেখ হাসিনার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে। মনে রাখবেন, ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না কেউ। বসন্তের কোকিলদের এনে দল ভারী করার চেষ্টা করবেন না। আমরা দুঃসময়ের কর্মী চাই, বসন্তের কোকিল চাই না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে পরিমাণগত ব্যাপকতার কমতি নেই। সংখ্যার আমাদের কর্মীর অভাব নেই। সমর্থকের অভাব নেই। আমাদের পার্টিতে দূষিত রক্ত আমরা আর চাই না। এই দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। অশুদ্ধকে শুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, কে কত প্রভাবশালী তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে আমরা চাইবো ক্লিন ইমেজের কর্মীদের নেতা বানাতে। খারাপ লোক কোনো দরকার নেই। খারাপ লোকেরা দলের দুর্নাম ডেকে আনে। দুঃসময় এলে এই খারাপ লোকেদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আগামী ১৬ নভেম্বর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দিন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবকলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর-এর নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও সময় নিতে চাই এবং বিচার বিশ্লেষণ করতে চাই। সেজন্য আমরা চাচ্ছি আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
এর আগে সকালে বেলুন ও পায়ড়া উড়িয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।