ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডসের এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির দাফন মঙ্গলবার।
আজ বিকেলে সোলেইমানিসহ ছয় ইরানি সামরিক সদস্যের মরদেহ ইরানে পৌছানোর কথা রয়েছে। আগামীকাল তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সোলেইমানির জানাজা পড়াবেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি। এরপর জানাজা শেষে মরদেহ মঙ্গলবার নিজ প্রদেশ কেরমানে তার বাড়িতে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
তাকে সম্মান জানাতে হাজির হন হাজার হাজার শোকার্ত ইরানি। দেশটিতে ঘোষণা করা হয়েছে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধ শুরু করতে নয়, বরং যুদ্ধ বন্ধ করতেই সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, গতরাতে আমার নির্দেশে মার্কিন সেনাবাহিনী নির্ভুল হামলা চালায়। এতে কাসেম সোলায়মানি নিহত হয়েছেন আর একই সঙ্গে তার ত্রাসের রাজত্ব চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মার্কিনিদের ওপর ভয়াবহ হামলার ছক কষছিলেন কাসেম, তাই তার নৃশংসতা থামিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোলাইমানির হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। এ ঘটনার পরপরই বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
তবে জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যু আইএসের জন্য স্বস্তি নিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেননা আইএস বিরোধী লড়াইয়ে তিনি ছিলেন অগ্রবর্তী সমরনায়ক। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর অন্যতম সামরিক পরামর্শদাতা ছিলেন সোলায়মানি।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান সুদৃঢ় করতে আরও তিন হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের বিমান সংস্থাগুলোকে ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ভারত।
শনিবার ইরাকি মিলিশিয়া বহরে নতুন করে হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। অবশ্য এমন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বাগদাদে শুক্রবার সকালের মার্কিন হামলায় ১০ জন নিহত হন। এর মধ্যে আইআরজিসি’র কমান্ডার কাসেম সুলেইমানিসহ পাঁচ জন ইরানি এবং হাশদ আশ শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিসহ পাঁচ ইরাকি নিহত হন।