স্টাফ রিপোর্টার :: যশোরের চৌগাছার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শামিম কবির ওরফে কিলার শামিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টুসহ ৪টি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ ডজন খানেক মামলা এবং অসংখ্য জিডি রয়েছে।
বুধবার যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
চৌগাছা উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত শামসুল হক মাস্টারের ছেলে শামিম কবির ওরফে কিলার শামিমের বিরুদ্ধে ১৯৯১ সালে চৌগাছা এলাকার মকবুল হোসেন হত্যাকান্ড, একই বছরে শাহিদুল ইসলাম হত্যাকান্ড মামলা রয়েছে। এরপর একের পর এক চাঁদাবাজি ও মারামারির ঘটনাও ঘটিয়ে আসছিলেন।
২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট দুপুরে চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর তমালতলা থেকে দুইটি ওয়ান স্যুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি এবং রাইফেলের ৩ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে র্যাব। এ ঘটনায মামলা করলে ২০১৭ সালে যশোরের স্পেশাল জেলা জজ (জেলা জজ) নিতাই চন্দ্র সাহা তাকে দোষি সাব্যস্ত করে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন।
২০১৩ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টু হত্যাকান্ড, একই বছরে সৌরভ নামে এক স্কুল ছাত্র হত্যাকান্ডের আসামি শামীমের বিরুদ্ধে ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে চৌগাছা থানায় ৮টি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগীরা। তিনি ‘শামিম’ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন।
বুধবার যশোর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।