আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১০:০১

নাগরিকদের বায়োমেট্রিম ছাঁপ জালিয়াতি- বাসুয়াড়ির চেয়ারম্যান কারাগারে।

স্টাফ রিপোর্টার ।। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আট নম্বর বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।পরিষদের কয়েকজন সদস্য এই তথ্য জানান।ইউপি চেয়ারম্যানকে জেলখানায় পাঠানোর ঘটনা এলাকায় জোর আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরা সাদেকুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম জানান, সাইবার ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার হাইকোর্ট থেকে গত বছরের ১২ নভেম্বর চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৮ ডিসেম্বর। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেননি। গত ২৯ জানুয়ারি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। সেদিন বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তারা (ইউপি সদস্যরা)। বিষয়টি ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার জেলহাজতে আছেন বলে লোকমুখে শুনছি। তবে কোনো তথ্য-প্রমাণ আমার কাছে নেই।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গেল বছর বাঘারপাড়া থানায় চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদারের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা হয়েছিল। দুই মাস আগে সেই মামলায় চার্জশিট হয়েছে। চার্জশিটে চেয়ারম্যানের নাম আছে।’

নড়াইল সদর থানার এএসআই কামাল হোসেন জানান, গত বছরের ১৯ অক্টোবর নড়াইল সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ আইনে তিনি নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামললায় গ্রেফতার দুই আসামি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে মামলাটিতে চেয়ারম্যান সাঈদ সরদারকে আসামি করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, মামলায় উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান আবু সাঈদ দীর্ঘদিন যাবত শ্রমজীবী অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত সহজ-সরল মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করে নেন। পরে সেই সব সিমকার্ড দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধমূলক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত