আজ - বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:৫৭

বাংলাদেশের বিশ্বজয় – ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ।

স্পোর্টস ডেস্ক।। ইতিহাস গড়ল বাংলার যুবারা। প্রথমবারের মতো দেশকে এনে দিলো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারালো ৩ উইকেটে।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমন ও তানজিদ। খুব সহজেই তাঁরা সামলাচ্ছিলেন ভারতীয় বোলারদের। ম্যাচ যত এগিয়ে যাচ্ছিলো উইকেটও হয়ে উঠছিল সহজ। কিন্তু স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তোলার পরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৭ রান করা তানজিদ। রাভি বিষ্ণইকে মারতে গিয়ে তানজিদ ফেরেন কার্তিক তিয়াগীর হাতে ক্যাচ দিয়ে।
বিষ্ণইর সেই শুরু, এরপর মাহমুদুল হাসান জয়কে (৮) তুলে নেয়ার পরের বলেই ফেরান তৌহিদ হৃদয়কে। শাহাদতকেও দাঁড়াতে দেননি। ১ রানেই তাকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন বিষ্ণই। অল্প সময়ের মধ্যেই চার উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এ লেগস্পিনার।


সেখান থেকে পুরো দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শামিম হোসেন (৭) এবং অভিষেক দাস (৫)। ১০২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশের হয়ে হাল ধরতে ক্রিজে নামেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যাওয়া ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তটাকে সঠিকই প্রমাণ করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারকে বেশিদূর যেতে দেননি তারা, রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে।


শুরু থেকেই ভারতের রানের চাকা চেপে ধরে টাইগাররা। দলীয স্কোরে মাত্র ৯ রান যাগ হতেই ওপেনার ধিবইয়াশ সাক্সেনাকে ফেরান অভিষেক দাস। সেই চাপ সামলে উঠেন আরেক ওপেনার জয়শওয়াল এবং তিলক ভার্মা। ৩৮ রানে তিলককে ফেরান সাকিব। এরপর জুরেলের ২২ রান ছাড়া আর কেউই দুই অংশ ছুঁতে পারেননি। একপাশ আগলে লড়তে থাকা জয়শওয়াল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন। ৮৮ রানে শরিফুলের শিকার হয়ে তিনি ফিরে গেলে মুখ থুবড়ে পড়ে ভারত। শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা।


স্কোর:
ভারত: ১৭৭/১০ (৪৭.২) জয়শওয়াল ৮৮, তিলক ভার্মা ৩৮; শরিফুল ২/৩১, সাকিব ২/২৮, অভিষেক ৩/৪০।
বাংলাদেশ: ১৭০/৭ (৪২.১) ইমন ৪৭, আকবর ৪৩*; বিষ্ণই ৪/৩০, মিশ্রা ২/২৫।

আরো সংবাদ