আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:২১

করোনাভাইরাসের শঙ্কা উড়িয়ে গণবিয়ে (ছবিসহ)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার যুগল গণবিয়েতে যোগ দিয়েছে। শুক্রবার সিউলের উত্তরপশ্চিমের গ্যাপিয়াংয়ের চেয়ং শিম পিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এই অনুষ্ঠান হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে- এ আয়োজনে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। এদের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার যুগলই প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে।

খবরে বলা হয়েছে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস শঙ্কা ছায়া ফেলেছিল গণবিয়েতেও। সে কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন চার্চের কর্মীরা উপস্থিতদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও সার্জিকাল মাস্কসহ নানান উপকরণও রেখেছিলেন।

সবার শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

অবশ্য অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বেশিরভাগ যুগলকে মাস্ক ছাড়াই দেখা গেছে।

স্বামীর কাছে যেন সুন্দর লাগে, এ জন্য আমি মাস্ক পরিনি, বলেছেন গণবিয়েতে অংশ নেওয়া ২৩ বছর বয়সী কনে নগুসেন মিঅংগুয়েত ওয়ালেহেত।

বেনিনের বাসিন্দা এ নারীর আরেক উদ্দেশ্য ছিল ‘ট্রু মাদার’ খ্যাত হাক জা হান মুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ।

যে গির্জার অধীনে এ গণবিয়ে, হাক জা হান দক্ষিণ কোরিয়ার সেই ইউনিফিকেশন চার্চের প্রতিষ্ঠাতা সুং মিয়ং মুনের স্ত্রী।

শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

১৯৫৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এ চার্চটি প্রতিষ্ঠা করে মুন নিজেকে ও স্ত্রীকে ‘মেসিয়াহ’ ঘোষণা করেছিলেন।

১৯৬১ সাল থেকে ২০০২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার অধীনেই এ গণবিয়ে হতো।

চলতি বছর মুনের জন্মশতবর্ষ হওয়ায় জনসমাগম বেশি হবে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল।

আশীর্বাদের এ গণবিয়েতে অংশ নিতে পেরে আমি খুশি। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আমি সাবধানতা হিসেবে মাস্ক পরেছি।

কিন্তু অনুষ্ঠান মিস করিনি, বলেছেন ৩৫ বছর বয়সী লি কেঅন-সিওক।

কালো রঙের স্যুটের সঙ্গে মিলিয়ে তার মাস্কও ছিল কালো, স্ত্রীর সাদা রঙের মাস্কও ছিল পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে গত ৩০ জানুয়ারি।

প্রথম দিকে এ প্রাদুর্ভাবের তীব্রতা আড়াল করতে মারাত্মক কঠোর ছিল চীনা সরকার।

কাজেই এ ভাইরাস যাতে বিশ্বের অন্য প্রান্তগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে; তা রোধে প্রাথমিকভাবে তাদের পর্যাপ্ত উদ্যোগ ছিল না। উহান থেকে ছড়িয়েপড়া এই মহামারী এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়।

এতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজারে বেশি। মারা গেছেন ৬৩৬ জন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ভাইরাস মহাদেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত