আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:৩৭

প্রেমের মাশুল জীবন দিয়ে দিলেন ইখলাস।

মুনতাসির মামুন।। মণিরামপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইকলাস হাসান (১৮) হত্যার রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের সময় ধারন হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ, নিহতের স্বজনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে খুনের রহস্য খুঁজে বের করতে পেরেছে বলে পুলিশের ভাষ্য। সম্পর্কোচ্ছেদ হয়ে যাওয়া প্রেমিকার সঙ্গে চলাফেরা মেনে নিতে না পেরে মৃদুল নামে অপর এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইকলাসকে হত্যা করেছে বলা হচ্ছে।
নিহত ইকলাস, সন্দেহভাজন হত্যাকারী মৃদুল ও তাদের প্রেমিকা আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ইকলাস যশোরের মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ এবং মৃদুল ও সেই ছাত্রী পলাশী কলেজের শিক্ষার্থী।

খুনের ঘটনায় ইকলাসের নানা আইয়ার আলী মঙ্গলবার দুপুরে মণিরামপুর থানায় মৃদুলসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মৃদুল মণিরামপুরের এড়েন্দা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটার মধ্যে সে ইকলাসকে হত্যা করে লাশ উপজেলার পলাশী মোড় জামে মসজিদের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। হত্যার পুরো ঘটনাটি পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পুলিশ আলামত হিসেবে ফুটেজ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ।

পুলিশ জানায়, পলাশী কলেজেরই এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীর সঙ্গে মৃদুলের প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে ৫-৬ মাস আগে। এরপর ইকলাসের সঙ্গে সেই ছাত্রীর সম্পর্ক হয়। প্রতিদিন সকালে ইকলাস ও ওই ছাত্রী একসঙ্গে বাসুদেবপুরে প্রাইভেট পড়তে যেত। তারা দুইজনে একসঙ্গে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পলাশী স্কুলের সামনে একে অপরের জন্য অপেক্ষা করত। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি মৃদুল। মঙ্গলবার সকালে সেই ছাত্রীর সামনে থেকে ধরে নিয়ে ইকলাসকে হত্যা করা হয়।

মণিরামপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, পলাশী হাইস্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ইকলাস পলাশী হাইস্কুলের সামনে পৌঁছুলে একজন তাকে জামার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে স্কুলের মাঠে নিয়ে মারপিট করে। একপর্যায়ে স্কুলের দেওয়ালের সঙ্গে মাথায় আঘাত করলে ইকলাস অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে তাকে টানতে টানতে স্কুলের পাশের মসজিদের কাছে নিয়ে বুকের ওপরে উঠে আঘাত করতে থাকে হত্যাকারী। এতে ইকলাসের মৃত্যু হলে পালিয়ে যায় সেই যুবক। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ছয়টা ৩২ মিনিট থেকে ছয়টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে।

শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এই ঘটনায় মৃদুল নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এক ছাত্রীর সঙ্গে ইকলাস ও মৃদুলের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা সেই ছাত্রীর সাথে কথা বলেছি। সে প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করেনি। তাকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। মৃদুল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ নিহত ইকলাস হোসেন বাঘারপাড়ার যাদবপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত