স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী ওসির স্বামী আহসানুল ইসলাম শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৯এপ্রিল) সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনারী ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
আহসানুল ইসলাম পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী রোকসানা খাতুন নড়াইলের নড়াগতি থানার ওসি হিসেবে কর্মরত
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আহসানুল ইসলাম বুকে ব্যথা করছে বলে তার স্ত্রী রোকসানা খাতুনকে জানান। এসময় তার স্ত্রী যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ক) গোলাম রব্বানীকে জানান। এসময় তিনি তার চিকিৎসার জন্য কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ওসি থানার এসআই আফম নিরুজ্জামানের মাধ্যমে আহসানুল ইসলামকে সকাল সাত টা ৩৫ মিনিটে যমেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রেরণ করেন। যার রেজি নং-১৭৯৩/০২। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ তাকে করোনারী ইউনিটে প্রেরণ করেন। সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে করোনারী ইউনিটে ভর্তি করে ডাক্তার সোহানুর রহমান ৮টা ২০ মিনিটে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ডাক্তার সোহানুর রহমান জানান, আহসানুল ইসলামকে বেডে আনার পর অস্থিরতার কারণে ইসিজি করা সম্ভব হয়নি। তারপর হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দেয়া হয়। তাছাড়া তার স্বজনরা বাইরে থেকে ওষুধ আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি রোকসানা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্য হিসাবে আমি জনগণকে সহায়তা করে আসছি। আজ আমার স্বামী বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। তিনি হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ করেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় বিনা চিকিৎসায় আহসানুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে অস্বীকার করে বলেন, নিহতের স্বজনরা ওষুধ আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) গোলাম রব্বানী, কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছেন।