আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:২৬

ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শাহারুল ইসলাম – শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা।

মুনতাসির মামুন।।  কে কোন দলের বুঝিনা। যে মানুষটা আপনাদের জন্য এত কিছু করেছেন তার জন্যে একবার আলহামদুলিল্লাহও আপনারা বলেন না৷ আজকে ত্রাণ দিয়ে গেলে কাল বলবেন আমরা কিচ্ছু পাইনি।  তারপরে খোঁজখবর নিলে দেখা যায় আপনি প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল তুলে আসছেন৷ এরপরেও আপনার শুকরিয়া নেই।  আপনি কোন দল করেন আমি বুঝিনা।  ঐ ৭৫ বছর বয়েসি মানুষটির প্রতি শুকরিয়া আদায় করে একবার আলহামদুলিল্লাহ বলেন, তার জন্য দোয়া করেন।
আমরা ঈদের আগে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ২৩০০ মানুষকে দিয়েছি। সকলের উচিৎ প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করা৷
আমার ইউনিয়নেে আমি মনে করিনা কোন পরিবার ভর্তুকি পেতে বাকী আছে৷  যার বাচ্চা স্কুলে যায় প্রাইমারি হলে ৩০০ টাকা হাইস্কুল হলে  ১৮০০ টাকা অন্যান্য ভর্তুকি বয়স্ক হলে ৩০০০ টাকা, প্রতিবন্ধী হলে ৪৮০০ টাকা, গর্ভকালীন মায়েরা ৭৫০০ টাকা করে পেয়েছেন ঈদের আগে।  আবার এই ইউনিয়নে এক হাজার মানুষ ঈদ  উপহার হিসেবে ২৫০০ টাকা করে পাবেন, এখন পর্যন্ত অনেকেই পেয়েছেন বাকীকরাও দ্রুত পেয়ে যাবেন।
অর্থাৎ ৮ হাজারের অধিক মানুষ শেখ হাসিনার ভর্তুকি পেয়েছেন। অথচ কেউ কিছু পাননি।  কেউ আলহামদুলিল্লাহ বলেননি, কেউ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেননি। আমরা মানুষ তো তাই আমাদের মনে থাকেনা যে শেখ হাসিনা ৩০ কেজি চাল দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ বলি৷ এটা আমাদের পাওয়ার পর আর মনে থাকেনা।
ইতিমধ্যে  যাদের আমরা কিছু দিতে পারিনি এরকম খুঁজে খুঁজে ১৫০ ঘরে ১০ কেজি করে মোট দেড় টন চাল দিয়েছি৷  দল মত দেখিনি৷  আমরা তো দিয়েই যাচ্ছি । আমরা কাউকে বাদ দিতে চাইনা। মহান আরশের মালিকের দরবারে প্রার্থনা মালিক আমাদের আরও তৌফিক দান করুক যাতে করে আমাদের এই উপহার সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারি।
শাহারুল ইসলাম আরও বলেন আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে বিগত যে সকল চেয়ারম্যান এই ইউনিয়নে ছিল আমার চেয়ে বেশি কাজ কেউ করতে পারেনি।  এটা আমার চ্যালেঞ্জ ।  আমার থেকে বেশি কাজ যদি কেউ করে থাকে আমি আগামীকালই পদত্যাগ করবো৷ আমিই একমাত্র চেয়ারম্যান আমার এখানে কোন আত্মীয় নেই কোন বন্ধু নেই৷ গতকাল ভেকুটিয়া বকুল তলায় ত্রাণ বিতরণ কালেও একই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন এ চেয়ারম্যান৷
এ সময় উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে আত্মীয় স্বজন দেখার আগে, খাতিরের মানুষ দেখার আগে প্রাপকের প্রাপ্যটুকু যথাযথভাবে পৌঁছানোর ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
প্রকৃতভাবে মানব সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে চিন্তা করেন তার আদর্শ প্রত্যেকটি কর্মীর মধ্যে ধারন করতে হবে,  ঈদের খরচ ২৫০০ টাকার কথা সেই চিন্তা করেছে, বিধবা ভাতা,  প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃতকালীন ভাতা সেই মহীয়সী নারীই চিন্তা করেছেন৷  যা সবাই করেনা। প্রকৃত ইসলাম মেনে রাষ্ট্র  পরিচালনা করেন একমাত্র শেখ হাসিনা। সে কারণে আমি আপনাদের নিকট আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন্য দোয়া কামনা করছি।
আজ শুক্রবার সুজলপুর সেগুণ বাগান এলাকায় ১৫০ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ কালে এসব কথা বলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, মিঠু মফিজুর রহমান, যুবলীগ নেতা শরীফ, সুমন, কামাল, সাগর ছাত্রলীগ নেতা  আশা, জুয়েল, ধর্মতলা ইজিবাইক মালিক চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত