যশোর উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা শওকত হোসেন রতনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শওকত হোসেন রতন উপশহর সি ব্লক এলাকার মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের মৃত রহমত আলী বিশ্বাসের ছেলে আবু বক্কর বিশ্বাস। অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির প্রতি সমন জারি করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, রতন খাজুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সপ্ন নামের একটি ভবন রয়েছে যেখানে দ্বিতীয় তলায় হোটেল ব্যবসা করার জন্য বাদী ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে আড়ায় লাখ টাকা অগ্রিম গ্রহন করে চুক্তি করেন।
এসময় বাদী হোটেল ব্যবসা পরিচালনার জন্য চারলাখ টাকার ফার্নিচার কেনেন এবং ব্যবসা শুরু করেন। ২০২১ সালের পহেলা মে পর্যন্ত ওই চুক্তির মেয়াদ থাকা সত্বেও ব্যবসা শুরুর তিন বছরের মাথায় বিল্ডিং মেরামতের কথা বলে ওই হোটেলের সকল মালামাল ভবনের নিচতলায় ফেলে রেখে বাদীর ব্যবসা বন্ধ করে দেয় রতন। এরপর বাদীকে আর ব্যবসা করতে দেয়নি। এছাড়া বাদীর জামানতের আড়াই লাখ টাকাও নিজের কাছে রেখে দেয় রতন। এরপর বাদীকে হোটেল ব্যবসা করতেও দেয়না ও জামানতের টাকাও ফেরত দেননা রতন। পরে টাকা ফেরত দিতে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকেন রতন। গত ১৮সেপ্টেম্বর সর্বশেষ বিষয়টি নিয়ে রতনের কাছে গেলে সে টাকা ফেরত দেবে না বলে জানিয়ে দেয়।
পরে বাদী বাধ্য হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতের আশ্রয় নেন। জামানতের আড়াই লাখ টাকা ছাড়াও তার চারলাখ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, উপশহর আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতিও ছিলেন ওই রতন। সেসময় নানা ধরণের অনিয়য়ের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়। ওই মামলায় রতনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। যা এখনো বিচারাধীন।