সম্প্রতি কিছু সংবাদ মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সংবাদটি সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন।
৩০ নভেম্বর (সোমবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ‘বস্তুতপক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কেউ কখনই মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়া হবে মর্মে মন্তব্য করেননি। এ ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকতেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, এর আগেও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে এমন গুজব রটানো হয়েছিলো। যদিও তার সবগুলোই ছিল পরিকল্পিত গুজব এবং সরকারকে বিতর্কিত করতেই তা করা হয়েছিলো।
অনেকেই বলেছেন, পদ্মাসেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজবটি যখন প্রকাশ্যে আসে তখন দেশের একাধিক স্থানে কাটা মাথা পাওয়া গিয়েছিল। আর সবাই একে সত্য ভাবতে শুরু করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তদন্তে বেড়িয়ে এসেছিল সব সত্য। গুজবকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এসব কাটা মাথা ফেলে রাখা হয়েছিল।
ধর্ম শিক্ষা তুলে দেয়ার নতুন গুজব নিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, ধর্ম হচ্ছে সকলের আবেগের একটি বিষয়। এর সম্মানে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আমাদের দেশের কিছু আলেমদের মধ্যে মনমালিন্য হচ্ছে আর এই সুযোগেই মাধ্যমিকে ধর্মের বিষয়টি বাদ দেয়ার গুজবটি ছড়িয়ে সরকারকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে একটি মহল।