আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১:২৬

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ যশোরে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি ও কুষ্টিয়ায় ভাঙচুরের প্রতিবাদে যশোরে আওয়ামী লীগ, জাসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি থেকে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ হবেই। কোনো অপশক্তি তার বিরোধিতা করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, পরাজিত মৌলবাদী অপশক্তি পবিত্র ধর্মের নামে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে অরাজকতা শুরু করছে। এ অবস্থায় স্বাধীনতার পক্ষের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে  প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তত থাকতে হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বের হয় বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে শহরের গুরুত্ব পূর্ণসড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবলীগ নেতা জহিদুর রহমান মিলন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল। যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান, শহর আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল হক শাহিন,এসএম ইউসুপ শাহিদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিয়ামত উল্লাহ্সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এর নেতৃত্ব দেন।

এর আগে শহরের গাড়ী খানা সড়কে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে পালিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ। এসময় বক্তৃতাকালে জাসদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের কথা যারা বলেন তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একথা বলছেন। কারণ বঙ্গবন্ধু কোনো পূজার মূর্তি নয়। তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইতিহাসের মহানায়ক। তাঁকে স্মরণ করতে এবং সম্মান জানাতে ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে। এর বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকারী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক  মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, জাসদ নেতা আবুল কায়েস, শরীফ আহমেদ বাপ্পী, আহসান উল্লাহ ময়না, মতিউর রহমান, মাস্টার নূর ইসলাম, জাকির হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা তাজুল ইসলাম।

এছাড়াও শহরের বকুলতলাস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরালে প্রাঙ্গনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন মৌলবাদি অপশক্তি অগ্রগতির সময়ে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করে। অথচ ধর্মীয় নেতারা বলাৎকার বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে তার প্রতিবাদ করে না।

মানববন্ধন  চলাকালে সংক্ষিপ্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুৃল ইসলাম তারু। বক্তব্য রাখেন কল্যাণ সম্পাদক একরাম উদ দ্দৌলাহ, শহীদ কর্নেল জামিল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, সাংস্কৃতিকজন হারুন অর রশিদ, সুকুমার দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক  অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু, তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক  সাজেদ রহমান, চাঁদের হাট যশোরের সাধারণ সম্পাদক ফারাজী আহমেদ সাইদ বুলবুল, উদীচী যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মজনু, সুরবিতানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বাসুদেব বিশ্বাস, নারী নেত্রী ফারদিনা রহমান এ্যানী, জোট নেতা শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধনে জোটভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের  নেতৃবৃন্দ হাতে হাত ধরে অংশ নেন। সঞ্চালনা করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু। শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষীণ করে চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত