আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:০৬

‘খুলনা জুট মিল শ্রমিকরা সঞ্চয়পত্র পাবে আগামী মাসের মধ্যেই’

খুলনার ছয়টি পাটকলের শ্রমিকরা আগামী মাসের মধ্যে স য়পত্র পাবে। নগদ অর্থ প্রদান প্রায় শেষ হয়েছে। আলীম জুট মিলের মালিকানা নিয়ে মামলা থাকায় এ প্রক্রিয়া এখনো স্থগিত রয়েছে।

গত ৩ জুলাই পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে প্লাটিনাম, জেজেআই, কার্পেটিং, ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ন ও স্টার জুট মিলের উৎপাদন স্থগিত হয়ে যায়। শ্রমিকরা মিল চালু ও তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করে।

গত ১৯ অক্টোবর প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের অর্থ প্রদান শুরু হয়। প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলের আবাসনকৃত ২ হাজার ৭৭৩ জন শ্রমিকের মধ্যে ২ হাজার ৬৩০ জন ও অবসরপ্রাপ্ত ১ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৬৬২ জনকে, ইস্টার্ণ জুট মিলের আবাসনকৃত ৮৫২ জনের মধ্যে ৭৮০ জন ও অবসরপ্রাপ্ত ৩৫৩ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৮৩ জনকে, ক্রিসেন্ট জুট মিলের আবাসনকৃত ২ হাজার ৭৭১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২ হাজার ২৩০ জন ও অবসরপ্রাপ্ত ১ হাজার ৫৯৩ জন শ্রমিকের মধ্যে ৯১৮ জনকে, কার্পেটিং জুট মিলের ৩১৫ জন আবাসনকৃত শ্রমিকদের মধ্যে ৩১৩ জনকে ও অবসরপ্রাপ্ত ২৩৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯০ জনকে, জেজেআই জুট মিলের ১ হাজার ৮৬ জন আবাসনকৃত শ্রমিকের মধ্যে ১ হাজার ৭৩ জনকে ও অবসরপ্রাপ্ত ৫১৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪৭০ জনকে এবং স্টার জুট মিলের ১ হাজার ৮৯৮ জন আবাসনকৃত শ্রমিকের মধ্যে ১ হাজার ৭০৭ জন ও অবসরপ্রাপ্ত ৬৮৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ৮৮ জন কে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

আইডি’তে ত্রুটি, শ্রমিকের নামের পাশে তার পিতার নাম ভুল থাকায় বাকী শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নগদ অর্থ প্রদান করা সম্ভব হয়নি বলে শ্রম অধিদপ্তরের সূত্র জানায়।

শ্রম অধিদপ্তর, খুলনার পরিচালক মো: মিজানুর রহমান জানান, কার্পেটিং জুটমিলের ৫০৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪১৮ জনকে স য়পত্র দেয়া হয়েছে। ৮৬ জনের স য়পত্র বাকী রয়েছে।

বিজেএমজি’র আ লিক ব্যবস্থাপক জানান, জেজেআই ও প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলের শ্রমিকদের স য়পত্র দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে বন্ধকৃত খুলনার সব মিলের শ্রমিকদের স য়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হবে।

উল্লেখ্য, গোল্ডেন হ্যান্ডসেক এর অর্থ প্রদান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন জি টু জি, পিপিপি অথবা লিজিং ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে পাটকলগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। দক্ষ শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মিলগুলোতে চাকরী পাবেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত