সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহত নারীর স্বামী ও তার ছোট দেবরকে আটক করেছে।
সোমবার সকালে কলারোয়া শ্রীপতিপুর নিহতের বাড়ি সংলগ্ন প্রাচিরের পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রড ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আটকরা হলেন নিহত ফাতেমার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী শেখ আহসান ও দেবর শেখ আসাদ।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, ফাতেমার সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পারের ছেলে নিহত করিম পারের সাথে। ঘটনার দিন রাতে ফাতেমার শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত এক কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় দু’জনকে দেখেন তার স্বামী।
স্বামী ও ছোট দেবর আসাদের সহযোগিতায় প্রথমে দু’জনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে ফাতেমার ব্যবহৃত কালো রঙের ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় বেঁধে দু’জনকে এক আম গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে তারা।
এ ঘটনায় নিহত করিম পারের বাবা জয়নাল পার একটি মামলা দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার ভিতরে ঘটনায় জড়িত থাকা প্রধান দু’আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তাদেরকে হত্যা মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন।