খানজাহান আলী 24/7 নিউজ : যশোরে ঘোপে নির্বাচনী প্রচারণাকালে কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী খুন হওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। পুলিশ এ মামলায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সোহাগকে আটক করেছে। তিনি ওই এলাকার মৃত জামালের ছেলে।
নিহতের বাবা যশোরের বাহাদুরপুর পূর্বপাড়ার তোতা বিশ্বাসের দেওয়া মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছে শহরের ঘোপ বউ বাজার এলাকার মৃত জলিল হাওলাদারের ছেলে নুর আলম, ঘোপ ডিআইজি রোডের নান্টু, বদ্দিন, জুলফি, ঘোপ বউ বাজার হলদিওয়ালার বাড়ির নজরুল ও এলাকার মৃত জামালের ছেলে সোহাগসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
মামলায় বলা হয়েছে, তার একমাত্র ছেলে পারভেজ কেরাম বোর্ড তৈরি করে বিক্রি করে। উল্লেখিত আসামি ও আটক সোহাগের সাথে পারভেজ ঘোরাফেরা করত। বেশ কিছুদিন আসামিদের সাথে পারভেজের দ্বন্দ্ব চলছিল। ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বউ বাজার এলাকার তসলিমের দোকানের সামনে সোহাগের নির্দেশে উল্লেখিত আসামিরা পারভেজকে ধাওয়া করে। দেশীয় অস্ত্র দা, হাসুয়া ও ছোরাসহ পারভেজকে আক্রমণ করে। পারভেজ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামিরা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পারভেজ নিজেকে রক্ষার জন্য দৌঁড়ে তসলিমের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লে সেখানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন। পারভেজ নিহতের খবরে ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী সোহাগ যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ তাকে অসুস্থ অবস্থায় হেফাজতে নেয়। পরে মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়।
আটক কাউন্সিলর প্রার্থী সোহাগের পক্ষ্যের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিহত পারভেজ সোহাগের খালাতো ভাই। পারভেজের সাথে সোহাগের ব্যাক্তিগত সম্পর্কও ভালো। সোহাগ কাউন্সিলার প্রার্থী হওয়ায় পারভেজ দিনরাত সোহাগের পানির বোতল মার্কার প্রচারনা চালাচ্ছিলেন। তিনে বলেন, বিভিন্ন প্ররোচনায় নিহত পারভেজের পিতা সোহাগকে মামলার আসামী করেছে। এতে পুরো ৩ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহাগ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একজন উল্লেখযোগ্য কাউন্সিলর প্রার্থী। অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় সোহাগ প্রচারণা সহ জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে। ওয়ার্ডবাসীদের কেউ কেউ বলছেন, একটি বড় চক্র নির্বাচনী পরিবেশকে ঘোলাটে করতে বিভিন্নভাবে সোহাগকে থামাতে চেষ্টা করছে। অনতিবিলম্বে তদন্ত শেষে সোহাগের মুক্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।