আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:০৭

রাজশাহীতে বাস চলাচল বন্ধ , ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ


রাজশাহী থেকে দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ রয়েছে জেলা ও আন্তঃজেলাসহ দূরপাল্লার সব ধরনের বাসের চলাচল। মঙ্গলবার (০২ মার্চ) সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে আজও ভোগান্তিতে রয়েছেন যাত্রীরা।

তবে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও চলছে অটোরিকশা। এতে বাস না পেয়ে পাশের জেলা ও আন্তঃজেলার যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া গুনে অটোরিকশায় যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যে।

ফারুক হোসেন নামের নগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা এক সরকারি কর্মচারী বলছেন, ‘চাকরি করি গোদাগাড়ী উপজেলায়। রাজশাহী থেকেই প্রতিদিন যেতে হয় বাসে। তবে হুট করেই ধর্মঘটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে অফিস করতে হচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না’।’

আশা রানী পাল নামের এক এনজিওকর্মী বলেন, ‘তানোর-মোহনপুরের কয়েকটি এলাকায় প্রতিদিনই যেতে হয় টাকা কালেকশনে। আর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বাস। কিন্তু শুনছি বিএনপির সমাবেশ হবে বলে বাস চলবে না আজও। অটোরিকশায় ৩০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা খরচ করে যেতে হচ্ছে’।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (০১ মার্চ) দুপুর থেকেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বাস ও পরিবহন মালিকরা। তাদের দাবি, বগুড়ায় মারধরের শিকার শ্রমিকরা ন্যায়বিচার না পাওয়ায় তারা এই পরিবহন ধর্মঘট দিয়েছেন।

রাজশাহী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলছেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সঙ্গে এই পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই। বগুড়ায় শ্রমিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার জেরেই রাজশাহীর সাথে সব জেলা ও উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিবহন মালিকরা।

একইভাবে রাজশাহী থেকেও কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে বুধবার (০৩ মার্চ) থেকে যথারীতি বাস চলাচল করবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শহরের মধ্যে বিশৃংঙ্খলা ও জনভোগান্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবেই গতকাল (০১ মার্চ) থেকে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মূলত তারা আমাদের সমাবেশকে পণ্ড করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে না আসতে পারে সেজন্যই আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘এই অপরাজনীতির শিকার শুধু আমরাই নই, সাধারণ জনগণও’।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত