কেশবপুর (যশোর) থেকেঃ কেশবপুরের পাঁজিয়ায় স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছর পর বিধবা নারীর পুত্র সন্তান প্রসবের ৯ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুর পিতৃপরিচয়সহ ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলেছেন ইয়াকুব আলী। এ সময় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এক আনন্দঘন মূহুর্তের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের মৃত হুকুম আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী দীর্ঘদিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের এক বিধবা নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছয় মাস আগে ওই নারী জানতে পারেন তিনি অন্ত:সত্ত্বা। ইয়াকুব আলীর সন্তান তার গর্ভে। গত ৩ মার্চ ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাঁজিয়া এলাকার একটি আমবাগানে গোপনে নিজেই নিজের গর্ভপাত ঘটান। পরে নবজাতককে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে একা বাগানে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পাশের এক মহিলার। সেই মহিলা তার কাছে গিয়ে দেখতে পান একটি বাজার করা ব্যাগের মধ্যে নবজাতক পুত্র সন্তান। নবজাতকটি জীবিত থাকায় তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই দিনই শিশু ও তার মাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
সেখানে নবজাতক শিশু ও তার মা চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট আসেন। এ সময় নবজাতক শিশুর বাবা ইয়াকুব আলী বলে চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীকে অবহিত করেন ওই নারী। সন্ধ্যায় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল ইয়াকুব আলীকে ডেকে আনেন। তখন ইয়াকুব আলী ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা ও শিশুর পিতৃপরিচয় দিয়ে ঘরে তুলবেন বলে জানান।
চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, লিখিতভাবে ইয়াকুব আলী ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা ও শিশুর পিতৃপরিচয় দিয়ে ঘরে তুলেছেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ ইয়াকুব আলীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয় এবং আনন্দঘন মূহুর্তের সৃষ্টি হয়।