লকডাউনের শুরুর দিনে নিষেধাজ্ঞার কারণে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি অটোরকশা, মোটরসাইকেল সবই চলছে। মানুষও রাস্তায় বের হয়েছে। ফলে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই ট্র্যাফিক সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস নেই। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে।
রিকশায় করে অফিসে যাত্রা করা গোলাম মোস্তফা দুখু বলেন, ‘আমার অফিস কারওয়ান বাজার। লকডাউন দিলেও অফিস খোলা রয়েছে। গাড়ি বন্ধ থাকায় আমি মালিবাগ থেকে বাড়তি টাকা দিয়ে রিকশায় যাচ্ছি।’
অফিসে যাওয়ার জন্য রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে বেশ কয়েকজনকে জড়ো হতে দেখা যায়। তারা প্রত্যেকেই একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। লিটু আহমেদ নামে তাদের একজন বলেন, ‘আমাদের অফিস খোলা। কোম্পানির গাড়ির এসে নিয়ে যাওয়ার কথা। এ কারণে ঘণ্টাখানেক ধরে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি।’
মিরপুরের কাজীপাড়ায় দেখা যায়, গাড়ির কোনও চাপ নেই। রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে শুধু। সেখানে অনেকেই অফিসে আসার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন। কেউ কেউ ভাড়া ভাগাভাগি করে সিএনজি ও রিকশায় অফিসে দিকে যেতে দেখা যায়। গুলশান, বনানী, মতিঝিল, কাকরাইল, পল্টন এলাকা ঘুরেও প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, রিকশা মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।