খানজাহান আলী 24/7 নিউজঃ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানির জন্য চুক্তিবদ্ধ একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রতি টিকায় প্রায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর টিকাপ্রতি এ মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা।

বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনবে। এ তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ টিকা সরকারকে সরবরাহ করেছে বেক্সিমকো। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনার কথা থাকলেও বর্তমানে ভারত থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা দেশে আসা বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আপাতত বাংলাদেশে সেরামের কোনো টিকা আসছে না।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। যা ২০২০ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনা ভাইরাসের টিকার বাড়তি আয় থেকে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। তাতে প্রতি টিকায় মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা বা প্রায় ৭৭ টাকা।

সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করলেও মুনাফা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ৫০ লাখ টিকার হিসাব। কারণ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করেছি ঠিকই; কিন্তু জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ টিকার আয় হিসাবে যুক্ত হয়েছে। কারণ ২০ লাখ টিকা এপ্রিলে সরবরাহ করা হয়েছে। তাই সেই আয় এ প্রান্তিকের হিসাবে যুক্ত হয়নি।

এদিকে করোনার টিকার আয়ের পাশাপাশি বেক্সিমকোর চলমান ওষুধের ব্যবসার আয়ও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ওষুধ রপ্তানি করে প্রাপ্ত নগদ সহায়তার পরিমাণও।

সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনার টিকার বাড়তি আয় থেকে। পাশাপাশি ছিল ওষুধের ব্যবসা ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি থেকে অর্জিত মুনাফা।

যদিও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে চুক্তিটি প্রকাশের দাবি করা হয়েছিল। এমনকি এককভাবে বেক্সিমকোকে টিকা আমদানির সুযোগ দেওয়া নিয়ে দেশে চলছিল নানা সমালোচনা। সম্প্রতি টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সমালোচনা আরও বেশি শক্ত ভিত পেয়েছে।

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ/ ন